লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুলের যত্নে মানুষ কত কিছুই না করে! এ জন্য পার্লারে গিয়ে প্রচুর টাকা ঢালতেও অনেকের কার্পণ্য নেই। এ ক্ষেত্রে কিছু খাবার নিয়মিত খেলে বেশ কাজে লাগে। চুল হয়ে ওঠে উজ্জ্বল, গোড়া হয় মজবুত। এতে চুল পড়া বন্ধ হয়। দেখতেও হয় সুন্দর।
১) পালংশাক
শাকসবজির মধ্যে পালংশাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, আয়রন, বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট ও ভিটামিন সি। মাথার ওপরের ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতে এগুলো কাজ করে। এগুলো চুলের ময়েশ্চার ঠিক রাখে বলে তা সহজে ভাঙে না।
২) পেয়ারা
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি চুল ভেঙে যাওয়া ঠেকায়। এক কাপ পেয়ারার রসে থাকে ৩৭৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। প্রতিদিন মানুষের শরীরে যে পরিমাণ ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়, তার চেয়ে এটি চার গুণ বেশি।
৩) গরুর মাংস
গরুর মাংসে লৌহ (আয়রন) থাকে বেশি। বিশেষ করে গরুর যকৃতের মাংসে এর পরিমাণ বেশি থাকে। চুল পড়া রোধে কাজ করে এটি। এ ছাড়া মসুরের ডাল ও সয়াবিনেও লৌহ পাওয়া যায়।
৪) মুরগির মাংস
শরীরে আমিষের (প্রোটিন) পরিমাণ কম থাকলে চুলের বৃদ্ধি থেমে যায়। তখন ধীরে ধীরে চুল পড়ে যেতে থাকে। আমিষ পাওয়ার সহজ উৎস হলো মাংস। বিশেষ করে মুরগির মাংসে আমিষ থাকে বেশি। তাই পরিমাণমতো মুরগির মাংস খেলে তা চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৫) মিষ্টি আলু
চুল বেশি শুকনো থাকলেও সমস্যা দেখা দেয়। এতে চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায়। এর প্রতিরোধে প্রয়োজন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন। মানুষের শরীর এই বিটা ক্যারোটিনকে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। এটি মাথার খুলির ওপরের চামড়ায় সেবাম নামের একধরনের তরল পদার্থ নিঃসরণ করে, যা চুলের শুকিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। মিষ্টি আলুতে বিটা ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। গাজর, মিষ্টি কুমড়া ও আমেও থাকে বিটা ক্যারোটিন।
৬) ডিম
চুলের বৃদ্ধিতে প্রয়োজন আমিষ ও লৌহ। ডিম খেলে এই দুইয়ের অভাবই পূরণ করা সম্ভব। ডিমে বেশি পরিমাণে বায়োটিন থাকে। বায়োটিন মূলত ভিটামিন বি। বায়োটিন চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণে না থাকলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে।
৭) দারুচিনি
চা বা কফি পান করছেন? একটুখানি দারুচিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন। কিংবা কোনো খাবারেও দারুচিনির গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। শরীরের রক্তপ্রবাহে দারুণভাবে সহায়তা করে এটি। এতে চুলের গোড়া বা রোমকূপ প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি পায়।