জাতীয় সংসদ ভবনের নকশা দেশে পৌঁছাবে আগামী মাসে। এর পরেই চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সংসদ ভবন এলাকায় লুই আই কানের নকশা অনুযায়ী সব কাঠামো প্রতিস্থাপন করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সুশীল সমাজ।
বঙ্গীয় বদ্বীপে নদী বেষ্টিত সবুজ সমভূমি আর উঁচু ভিটায় তৈরি ঘর-বাড়ি এরকম ভূমি জলে মেশানো প্রকৃতি থেকে লুই আই কান সংসদ ভবনের নকশা তৈরি করেন। এ কারণে লেকের উপর তৈরি করা হয়েছে সংসদ ভবন।
নকশার প্রথম ধাপ ছিল ২শ’ ৮ একর জায়গায় জাতীয় সংসদ ভবন নির্মাণ। সামনে ও পেছনে সবুজ খোলা মাঠ। চারিদিকে আট লেনের সড়ক, মাঝখানে লেক। দ্বিতীয় ধাপে লেকের পর বিস্তৃর্ণ সবুজ। বাকি জায়গায় সচিবালয়, লাইব্রেরি, জাদুঘর, হাসপাতালসহ প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক বলয়।
তবে মূল নকশায় না থাকলেও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরসহ যে আটটি কবর ও স্থাপনা সংসদ ভবন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে সেগুলো সরানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন যে নকশা পেয়েছি সেখানো কোন কবরস্থান নেই। আমরা মূল নকশা বাস্তবায়ন করব। এতে যদি কবরস্থান সরে যায় তাহলে কিছু করার নেই। যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। আমরা নকশা আসলেই কাজ শুরু করে দিব’।
লুই আই কানের নকশার হুবুহ বাস্তবায়ন চান স্থপিত ও সুশীল সমাজের সদস্যরা। তারা বলছেন শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খন্ডিতভাবে কাজটি করা উচিত হবে না।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘সিন্ধান্তটা হতে হবে লুই আই কানের নকশাকে বাস্তবায়ন। আরি যদি সিন্ধান্তটা নেয়া হয় জিয়া সাহেবের কবর সরানোর জন্য তাহলে এটা দেশ ও জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করে দেবে’।
এদিকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর পদক্ষেপে তীব্র সমালোচনা করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি.