নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সীমান্তে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি করা পশুর চামড়ার পাচার ঠেকাতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)। ট্যানারি মালিকদের নির্ধারণ করা মূল্যে পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এ কারণে চামড়া পাচারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আড়তদাররা জানান, ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেয়া চামড়ার দামের চেয়েস্থানীয় মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা কয়েকগুণ বেশি দামে চামড়া কিনেছেন। এ ছাড়াও ট্যানারি মালিকরা যে দাম নির্ধারণ করেছেন সেই দামে ট্যানারি মালিকরা আড়তদারদের কাছে থেকে চামড়া কিনবেন। এ কারণে ঐ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে আড়তদাররা কিছু কম দামে চামড়া কিনছেন। এরপরও আড়তদারদেরকে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ আনুষঙ্গিক কিছু ব্যয় রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় মৌসুমি
ব্যবসায়ীরা ট্যানারি মালিকদের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চামড়া ক্রয় করায় চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকদের নির্ধারিত মূল্যে স্থানীয় আড়তদাররা চামড়া কিনলে তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পেতেন। কিন্তু আড়তদাররা সেটি না করে নিজ খেয়ালখুশি মতো দাম কমিয়ে ক্রয় করার ফন্দি ফিকির করছেন। এ কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বর্তমানে ক্রয়কৃত চামড়া নিয়ে বিপাকেপড়েছেন। স্থানীয় আড়তদারদের কাছে চামড়া বিক্রি করলে অধিকাংশ মৌসুমি ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে লোকসান খেয়ে পুঁজি হারিয়ে পথে বসবেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ফুলবাড়ী ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কোরবান আলী বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্তে কড়া নজরদারিসহ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। সীমান্ত পথে কোনো জঙ্গি কিংবা
সন্ত্রাসীর অনুপ্রবেশ এবং ঈদের পশুর চামড়া পাচার রোধে বিজিবি সদস্যদের অনেকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।