নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর আজিমপুরে পুলিশের অভিযানে আটক সন্দেহভাজন তিন নারী জঙ্গির একজন জেএমবির শীর্ষ নেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী শায়লা। তিনি অভিযানের সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বাকি দুই নারীর একজন জঙ্গিনেতা রাহুলের স্ত্রী শারমিন। তিনি ছুরি হাতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত নিহত জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপ মেলানো ছাড়া অন্যান্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় নিহত ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে মনে করছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
নিহত জঙ্গি শমসেদ বা জমশেদ বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর সাংগঠনিক নাম আবদুল করিম। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে দেন।
এদিকে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, জঙ্গিদের কর্মকাণ্ড ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। তবে অর্থের উৎস কোথায়, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে এমন কিছু আলামত পাওয়া গেছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে জঙ্গিরা বড় ধরনের হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ ছাড়া ওই আস্তানায় চার লাখ টাকা পাওয়া গেছে।