নিউজ ডেস্ক : মেয়েদের সম্পর্কে হাজারটা ভুল ধারণায় ভোগেন ছেলেরা। মেয়েরা যে আদপে কেমন— সেই সত্যিটা অনেক পুরুষের কাছেই ‘গোপন’ তথ্য। আজ তেমনই ৬টি গোপন তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। আপনি যদি পুরুষ হন, তাহলে এই তথ্যগুলো অবশ্যই আপনার জানা উচিৎ—
১. তথাকথিত ‘আধুনিকা’ মানেই যে-কোনও পুরুষের সঙ্গে সেই মেয়ে শুয়ে পড়ার জন্য তৈরি— এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, অধিকাংশ মেয়েই কোনও একটা ন্যূনতম মানসিক সংযোগ ছাড়া কোনও পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চান না। কাজেই, কোনও মেয়ে একটু খাটো পোশাক পরেছে, অথবা কোনও পুরুষের সঙ্গে বার-এ বসে মদ্যপান করছে মানেই আপনার বেডরুমেও সে অতি অনায়াসে চলে যাবে, তা আদৌ নয়।
২. ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’, কিন্তু জটিলতর হল মেয়েদের মেজাজ বা ‘মুড’। ডাক্তারি মত বলে, অধিকাংশ মেয়েই প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমে ভোগেন, অর্থাৎ ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে নানা রকম শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তিতে ভোগেন। সেই সময়টায় হঠাৎ হঠাৎ মেজাজের বদল, এইমাত্র খুশি তো পরক্ষণেই রেগে আগুন— এমনটা হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক।
৩. জীবনে এমন বহু পরিস্থিতি আসে যখন কোনও মেয়ের কাছে তার মা-ই সবচেয়ে আপনজন। যদি ভেবে থাকেন, আপনি কোনও মেয়েকে ভালবাসেন বলেই সে তার সমস্ত সমস্যা আপনার কাছে উজাড় করে দেবে, তাহলে ভুল ভাবছেন। মেয়েদের জীবনে এমন অনেক বিষয় থাকে, যেগুলো নিজের মায়ের সঙ্গে আলোচনা করতেই সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করে তারা, এবং মায়েরাই এই সব বিষয়ে সবচেয়ে কার্যকর পরামর্শ দিতে পারেন মেয়েদের।
৪. মেয়েদের জীবনে অন্য মেয়েদেরও প্রয়োজন রয়েছে। মেয়েদের একটা নিজস্ব জগৎ থাকে, সেখানে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। মেয়েদের নিজস্ব আড্ডা, বেড়ানো, গসিপ— সবই থাকে। সেগুলো থেকে তাদের বঞ্চিত করার কোনও মানেই হয় না। কাজেই আপনি কোনও মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন বলে যদি আশা করেন, সে তার মেয়ে-বন্ধুদের ছেড়ে সর্বক্ষণ আপনার সঙ্গে সময় কাটাবে, তাহলে ভুল করছেন।
৫. গড় হিসেব অনুযায়ী, বিছানায় চরম আনন্দ পেতে ছেলেদের থেকে বেশি সময় লাগে মেয়েদের। কাজেই শারীরিক মিলনের সময়ে একজন পুরুষ যদি ভাবেন, তিনি নিজে অরগ্যাজমে পৌঁছচ্ছেন মানে তাঁর সঙ্গিনীও চরম সুখ পাচ্ছেন, তাহলে সেই ধারণা ভুল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
৬. মেয়েরা মিলনের আগে ফোর প্লে পছন্দ করেন। সমীক্ষা জানাচ্ছে, বেডরুমে যাওয়ার পর দুম করে শারীরিক মিলন শুরু করে দেওয়া পুরুষদের পছন্দ হতে পারে, মেয়েদের হয় না। সুত্র-এবেলা