নিজস্ব প্রতিবেদক : স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) ছাড়া আর কোনও ভবনের নকশা অনুমোদন না দিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল অধিদফতর ও কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ভবনগুলোতে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় নাগরিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
রাজউকের উত্তরা তৃতীয় পর্বের অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি নির্ধারণ ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। রবিবার গণপূর্ত অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং গণপূর্ত অধিদফতর।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে নাগরিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ঢাকার চারপাশের নদী দূষিত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, উত্তরা তৃতীয় পর্বের অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বাসাবাড়ির মানববর্জ্য সরাসরি নগরীর নর্দমায় সংযোগ করায় পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য উত্তরা তৃতীয় পর্বে স্থান সুনির্দিষ্ট করা আছে। পূর্বাচল নতুন শহর এবং ঝিলমিল আবাসিক এলাকাকেও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ভবনের নকশা অনুমোদনে অন্যান্য শর্তের সঙ্গে এসটিপি স্থাপনের শর্তও জুড়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) এএসএম রায়হানুল ফেরদৌস প্রমুখ। গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ফারুক আহমেদ তার উপস্থাপনায় স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কার্যকারিতা এবং প্রক্রিয়াগত বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ , অধিদফতর ও সংস্থার প্রধান এবং গণপূর্ত অধিদফতর ও রাজউকের প্রকৌশলীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।