বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘চাতাল নগরী’ হিসেবে পরিচিত আশুগঞ্জ থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সরকার। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। তবে এবার গত বছরের তুলনায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাল কল মালিকরা।
এদিকে ’অস্তিত্বহীন’ বেশ কয়েকটি চালকলের সঙ্গেও চুক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সভায় আলোচনা হলেও তা শেষ পর্যন্ত এড়িয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, এমন হয়ে থাকলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর আশুগঞ্জে ৬ হাজার ৪১৮ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ৫ হাজার ৭৩৩ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে সরকার। অথচ গত বছর ১৭ হাজার ৯৩৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১৩ হাজার ২০৩ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। এ বছর প্রায় আড়াই শতাধিক চাল কলের সঙ্গে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয়। চাল কল মালিক মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, গত বছর তিনি ১০০ টন চাল সরবরাহ করেছিলেন। কিন্তু এবার তাকে ৩৫ টন চাল সরবরাহের জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত বদল করে সরকার এবার চাল কেনার আগে ধান কিনেছে। যে কারণে এখন বাজারে ধান কম থাকায় দাম বেশি। এক তো টার্গেট কম তার উপর দাম বেশি পড়ায় আমরা লোকসানের মুখে পড়বো।
আশুগঞ্জ চাতাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান সিরাজ বলেন, ‘সরকার চাল সংগ্রহে এবার খুব কম সময় বেঁধে দিয়েছে। আগে মে থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাল সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু এবার মাত্র তিন সপ্তাহের মতো সময় বেঁধে দেওয়ায় নির্ধারিত চাল দেওয়া সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে আগামী রোববার লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবু কাউছার বলেন, ’চলতি বছর আশুগঞ্জ থেকে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে তিন ভাগের এক ভাগ কমে এসেছে।