নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, অনেকে বলে আমার অনেক বয়স হয়ে গেছে। তোমরা আমাকে ক্ষমতায় নিয়ে যাও, আমি আরো দুইশ’ বছর বাঁচবো ইনশাল্লাহ। তোমরা তিনশ’ আসনের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নাও। আমরা দেখাতে চাই জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, নব্বইতে ক্ষমতা ছাড়ার আগে আমাকে কথা দেয়া হলো সবাইকে নির্বাচন করার সমান সুযোগ দেয়া হবে। কিন্তু তা দেয়া হয়নি। জেলে নেয়া হলো আমাকে এবং আমার দলের নেতাদের। প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হলো আমার সাথে। খালেদা জিয়াই এদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমার উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে নিঃশেষ করার করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপি আমাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল। তারপরও আমি ভেঙে পড়ি নাই।
তিনি বলেন, দুর্বলের সাখে কেউ হাত মেলায় না। আমরা এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর যদি কেউ আমাদের সাথে ঐক্যের হাত মেলায় তখন আমরা ভেবে দেখবো। তবে নিজ থেকে কারো সাথে ঐক্যে যাবো না।
যৌতসভায় বিরোধীদলের নেতা ও জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ দল থেকে চলে যাওয়া নেতাদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের যথাযথ সম্মান দেয়া হবে।
তিনি নেতাদের একবার নমিনেশন দিলে আবার ঘুরিয়ে অন্যজনকে না দেয়ার জন্য এরশাদের প্রতি আহ্বান জানান।
দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, যারা অন্যদলে চলে গেছে তারা কেউ ভাল নেই। আমাদের দলের উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তিনিও একটি দলের ভাইস চেয়ারম্যান। তাও দয়া করে তাকে দিয়েছেন। আমাদের এখানে সম্মানে ছিলেন এখন অন্য দলে গিয়ে অনেকে সদস্যও হতে পারেন নাই।
সভায় আরো বক্তব্য দেন- কিশোরগঞ্জ জেলা জাপার সভাপতি ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, চট্টগ্রাম মহানগর সভানেত্রী মেহজাবিন মুর্শেদ এমপি, নিলফামারী জেলা সভাপতি শওকত চৌধুরী এমপি, বগুড়া জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, কুমিল্লা দ. সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন ভূঁইয়া এমপি, মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদিকা অনন্যা হোসাইন মৌসুমী, ছাত্রসমাজের সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার আহসান, শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আসরাফুজ্জামান খাঁন, রংপুর জেলা সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, নড়াইল সভাপতি শরিফ মুনির হোসেন, নওগাঁ সভাপতি হাসান সিরাজ সুজা, শেরপুর জেলা সভাপতি ইলিয়াশ উদ্দিন প্রমুখ।
যৌথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন বাবলু এমপি, কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, এম এ সাত্তার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি, এমএ কাসেম, সুনীল শুভ রায়, ফখরুল ইমাম এমপি, আবুল কাসেম, এসএম ফয়সল চিশতি, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আতিকুর রহমান আতিক, হাজী সাইফুদ্দিন মিলন, নাসরিন জাহান রত্না এমপি, আব্দুর রশিদ সরকার, মেজর অব. খালেদ আখতার, আব্দুর রশিদ সরকার, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, কাজী মামুনুর রশিদ, মোস্তফা জামান বেবী, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল জিয়াউল হক মৃধা এমপি, এইচ এন শফিকুর রহমান, নুরুল ইসলাম নুরু, নুরুল ইসলাম মিলন এমপি, আলতাফ হোসেন এমপি, গোলাম মাওলা চৌধুরী, নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, হাজী বক্কর, মৌলভী ইলিয়াস এমপি, ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি, আরিফ খান, জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, আশরাফ সিদ্দিকি, দেওয়ান আলী, নাজমা বেগম, জহিরুল আলম রুবেল, শেখ আলমগীর হোসেন, মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি, আসিফ শাহরিয়া, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, পীর মেজবাউর রহমান এমপি, ইসহাক ভূঁইয়া, মোবারক হোসেন আজাদ, বেলাল হোসেন, জামাল রানা, মোস্তফা কামাল, সুমন আশরাফ, আবু সাইদ স্বপন, গোলাম মোস্তফা, আব্দুর রাজ্জাক, হেলাল উদ্দিন, মাসুদুর রহমান মাসুদ, সোলাইমান সামি প্রমুখ।