অনলাইন ডেস্ক : নীল ছবির নেশায় বুঁদ ৮ থেকে ৮০! আর এখন হাতে হাতে অ্যান্ড্রয়েড ও ঘরে ঘরে কম্পিউটার-ইন্টারনেট হওয়ায় নীল ছবিও অনেক সহজলভ্য হয়ে গেছে। ‘সভ্য’ মানব অজান্তেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নীল ছবির আসক্তিতে। দিনের পর দিন বাড়ছে পর্নের চাহিদাও। এ কারণে পর্ন ইন্ড্রাস্ট্রিও ফুলে-ফেঁপে উঠছে। খোলা হয়েছে পর্ন তারকা তৈরির বিশ্ববিদ্যালয়ও।
কতটা ক্ষতিকারক এই নীল ছবি? সমাজ, সম্পর্ক এমনকি শরীর -কীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই নীল ছবির মাধ্যমে? এ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। কিছু গবেষণা বলছে বিবাহিত সম্পর্কে থাকা নর ও নারীর পর্ন দেখার প্রবণতাতেই নাকি লুকিয়ে আছে তাদের সম্পর্কের গভীরতা! অর্থাৎ, স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে মাঝেমধ্যে পর্ন দেখলে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। নতুন এক গবেষণার দাবি একটা বৈবাহিক সম্পর্ককে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য পর্ন ছবিই যথেষ্ট বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে।
নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বিয়ের পর পর্ন দেখেন এমন সম্পর্ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিচ্ছেদের পথে এগিয়েছে। আর বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদে পর্ন যাদের ওপর সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলে, তারা হলেন নারী। আমেরিকার ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার পর সমাজবিদরা দাবি করেছেন, যে নারীরা দিনে তিন বারের থেকেও বেশি নীল ছবি দেখেন তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঝোঁক বেশি দেখা যায়। তাদের আরও দাবি পর্ন বিবাহিত নারী ও পুরুষের শরীরে প্রভাব বিস্তার করে এবং তাদের স্বভাবজাত যৌন আচরণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ক্যামেরার পেছনের কৃত্রিম যৌন আচরণ তারা বাস্তব জীবনে আকাঙ্ক্ষা করে ও কল্পনার জগতে ভাসে। ফলে সঙ্গীর প্রতি তাদের আস্থা কমে যায় যা সম্পর্ককে এক পর্যায়ে বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়।