ইসরায়েলে নতুন আইন: ফিলিস্তিনিরা পাথর ছুড়লেই জঙ্গি, ২০ বছরের জেল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে দেশটির জনগণের প্রতিবাদের ভাষা হচ্ছে, পাথর ছুড়ে মারা। ইসরায়েলের সেনাদের ছোড়া বুলেটের জবাব ফিলিস্তিনিরা দেয় পাথর মেরে প্রতিবাদ করে। তবে এবার সে পথও বন্ধ। ইসরায়েলিদের দিকে পাথর মারলে এখন থেকে প্রতিবাদকারীকে বিবেচনা করা হবে জঙ্গি হিসেবে। সেইসঙ্গে থাকছে ২০ বছরের কারাদণ্ড।
পৃথিবীর যেকোনো দেশেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভে পাথর ছুড়ে মারা একটি সাধারণ ঘটনা। এবার এর বিরুদ্ধেও চড়াও হল ইসরায়েলি প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, এখন থেকে ইসরায়েলিদের দিকে ফিলিস্তিনিরা পাথর ছুড়ে মারলে পাথর নিক্ষেপকারীকে জঙ্গি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই ‘অপরাধে’ ভোগ করতে হবে ২০ বছরের জেল।
আগে বিভিন্ন সময়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলি প্রশাসনের কঠোরতার সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ইসরায়েলের আইনমন্ত্রী আয়েলত শাখেদ বলেন, ‘জঙ্গিদের প্রতি সহনশীলতার দিন আজ থেকে শেষ হলো। একমাত্র কড়া শাস্তিই এই প্রথা বন্ধ করতে পারে।’
নতুন আইন অনুসারে, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ পাথর ছুড়লে তা জঙ্গি কার্যকলাপ হিসেবেই গণ্য হবে এবং তার শাস্তিতে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। পাথর কী উদ্দেশ্য ছোড়া হয়েছিল, তা জানা না গেলে শাস্তির মেয়াদ কমে হতে পারে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। নতুন এ আইন নিয়ে নানা সমালোচনা সত্ত্বেও প্রতিবাদ ঠেকাতে এই পদক্ষেপেই অনড় ইসরায়েল।