g সিন্ডিকেটের কবলে সরাইলের পশুর হাট | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ২রা আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেটের কবলে সরাইলের পশুর হাট

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫

---

সরাইল প্রতিনিধি : সিন্ডিকেটের কবলে বন্ধি হয়ে রয়েছে সরাইলের পশুর হাট। আবার রয়েছে সাব-লীজের দৌরাত্ব। ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। শোষিত হচ্ছে সাধারন মানুষ। সুযোগে কায়দা করে টুপাইস কামাই করছেন ক্ষমতাসীন দলের কিছু ছামচা চামন্ডা। তাদের সাথে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু সর্দার মাতব্বর। নিয়ম না থাকলেও মহাসড়কের পাশে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে বসছে হাট। ২/১টি হাটে হাসিল আদায়ে কাজ করছেন কলেজের প্রভাষকরাও। অনিয়ম ও সিন্ডিকেট মুক্ত ইজারার দাবী জানান খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা যায়, কয়েক’শ বছরের পুরাতন সরাইল সদরের একমাত্র গরু ছাগল ও মহিষের স্থায়ী হাটটি সরকার স্বীকৃত। গত কয়েক বছরে সরাইল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ৮টি অস্থায়ী পশুর হাট। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মী ও প্রভাবশালীদের চেষ্টা তদবিরেই অস্থায়ী হাটের জন্ম। হাট গুলো হচ্ছে- অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রী কলেজ মাঠ, দুবাজাইল বাজার, পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামের হাট, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে শাহবাজপুর দ্বিতীয় গেইট, চুন্টা ইউনিয়নের চুন্টা এ সি একাডেমির মাঠ, আজবপুর গ্রামের খালি মাঠ, পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা হাট ও দেওবাড়িয়া চক বাজারের পশুর হাট। উপজেলা সদরের মাত্র ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই গড়ে উঠেছে ৫টি হাট। ফলে লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন সরাইল সদরের একমাত্র পশুর হাটের ইজারাদার। প্রতিবছর ঈদ-উল-আযহার ২০-২৫ দিন আগে অস্থায়ী হাট গুলোর খোলা ডাকের ব্যবস্থা করে উপজেলা প্রশাসন। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করার খেলায় মত্ত হয়ে পড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ টাকার ভাগ যায় সরকার দলীয় কিছু পাতি নেতা ও কর্মীর পকেটে। ডাকে অংশ গ্রহন করার জন্য তৈরী হয় দীর্ঘ তালিকা। কিন্তু মূহুর্তের মধ্যে এক হয়ে যায় পুরো সিন্ডিকেট। ভাগে ৩-৪ হাজার টাকা পেয়ে সটকে পড়েন তারা। ডাকে অংশ নেন মাত্র ৪-৫ জন। তাও টাকার পরিমান পূর্ব পরিকল্পিত। একজন থেকে অপরজন সামান্য বেশী ডেকে নিয়ম রক্ষা করেন। ডাকের ৭০-৮০ভাগ টাকা চলে যায় সিন্ডিকেট সদস্যদের পকেটে। সরকার পায় মাত্র ২০ ভাগ টাকা। অনেকে এসে মসজিদ মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দোহাই দিয়ে অল্প টাকায় হাট ডেকে নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করে চলেছেন। অরুয়াইল কলেজ মাঠের হাটে লাভ হয় ৫-৬ লাখ টাকা। কাগজে কলমে ৫০-৬০ হাজার দেখিয়ে বাকী টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন প্রভাষক ও ব্যবস্থাপনা পরিষদের কতিপয় সদস্য। এ ভাবেই চলছে বছরের পর বছর। আইন অমান্য করে ২/১টি হাট দেয়া হয়েছে সাব-লীজ। সরাইলের পুরাতন বাজারের ইজাদার মো. শাহ আলম বক্স আক্ষেপ করে বলেন, এ ভাবে গনহারে অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি দেয়ার বিধান আছে কিনা জানি না। তবে আমার ১২টা বাজিয়ে দিয়েছে। ৯ লক্ষাধিক টাকা খরচ বাজার ইজারা এনেছি। এবার আসল নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারব না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন পশুর হাটের ডাকে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার কথা স্বীকার করে বলেন, সকলেই টাকার ভাগ নিয়ে সরকারকে ঠকানোর চেষ্টা করে। সিন্ডিকেটের কবলে না পড়লে এখানকার অস্থায়ী হাট গুলোর ইজারা আরো তিন/চার গুন বেশী হত। 

 

এ জাতীয় আরও খবর