g ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় এএসআই কারাগারে | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ২১শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৬ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় এএসআই কারাগারে

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ১৯, ২০১৪

---

BBaria Mapব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলমকে অবশেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত।

তরুণী ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগের মামলায় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জালাল উদ্দিন রোববার দুপুরে এ রায় দেন।

এর আগে ৩ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে একই আদালত। পরে ২৫ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জন্য জামিন নেন তিনি।  

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত সূত্র জানায়, রোববার ছিল অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের আট সপ্তাহ জামিনের শেষ দিন। তিনি দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন চাইলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের মামলা (১০৬১/১৩) সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামে ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন তার মা।

এরপর আদালত মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য প্রথমে র‌্যাব-৯কে নির্দেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম সফিউল আজম এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করেন।

মামলার বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, এএসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালের ৯ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরো দু’জনকে নিয়ে পৌর এলাকার ভাদুঘরে তাদের ভাড়া বাসায় এসে দরজা ধাক্কাতে থাকে। ঘটনার সময় তরুণীর মা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলেন।

দরজা ধাক্কানোর বিষয়টি মুঠোফোনে তিনি তার মাকে জানানোর মুহূর্তেই জাহাঙ্গীর ও আরো দুজন জোরপূর্বক ঘরে ঢোকে। তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ওই তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এসময় তার কবল থেকে বাঁচতে চিৎকার শুরু করলে জাহাঙ্গীর তাকে চড়থাপ্পড় মারেন।
চিৎকার শুনে তরুণীর সাত বছর বয়সী ছোট ভাই বাঁচাতে এলে জাহাঙ্গীর তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এসময় ওই তরুণী দৌঁড়ে বাড়ির ছাদে উঠে যায়। জাহাঙ্গীরও তার পিছু পিছু ছাদে গিয়ে আবার তাকে ফের ধর্ষণ চেষ্টা করে।

ওই তরুণীর প্রাণপণ আত্মরক্ষার চেষ্টার মুখে জাহাঙ্গীর একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে হত্যার উদ্দেশে তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে তার কোমর ভেঙে যায়। এছাড়া তার সারা শরীরে জখম হয়। এরপর তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আদালতে বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী শেখ নাজমুল সাকিব জানান, বিচার বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। সমন অনুযায়ী গত বছরের ৩ নভেম্বর আদালতে জাহাঙ্গীরের হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সর্বশেষ রোববার তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বর্তমানে জাহাঙ্গীর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। বাংলানিউজকে

 

এ জাতীয় আরও খবর