ক্ষতিপূরণ না দিলে নিলামে উঠবে গ্রিনলাইনের সব বাস : হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক : সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের বাসের চাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় গ্রিন লাইনের ব্যবস্থাপককে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছে,আদেশ মানতে না চাইলে ওই পরিবহন কোম্পানির মালিককে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে গ্রিনলাইনের সব গাড়ি জব্দ করে নিলামে তুলে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে, গত ৩১ মার্চ তিন দিনের মধ্যে পা হারানো রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাসেল ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা তা আদালতকে অবহিত করেন। এদিন আদালতে হাজির হন রাসেল সরকারও।
শামসুল হক জানান, গ্রিনলাইন মালিকপক্ষ রাসেলের ক্ষতিপূরণের কোন টাকা দেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে তারা কোন যোগাযোগও করেনি। সে কারণে মালিককে আদালতে হাজিরের জন্য আদেশ দেওয়ার অনুরোধ জানান।
এ সময় আদালত গ্রিনলাইনের আইনজীবী অজিউল্লাহকে ডেকে তার কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহ বলেন, গ্রিনলাইনের মালিক দেশের বাইরে যে কারণে তার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করতে পারিনি। আদালত এ সময় গ্রিনলাইনের আইনজীবীকে বলেন, মালিক কোন দেশে আছেন, কবে ফিরবেন তা নিশ্চিত করেন।
কিন্তু এ বিষয়ে আদালতে কোন তথ্য তিনি দিতে পারেননি গ্রিনলাইনের পক্ষের আইনজীবী। পরে বিষয়টি নিয়ে গ্রিনলাইনের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে আদালতে ডেকে আনতে ওই আইনজীবীকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাসেলকে ক্ষতিপূরণ না দিলে গ্রিনলাইনের সব বাস জব্দ করা হবে।
গত ৩১ মার্চ গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ৩ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৩ এপ্রিল বুধবারের মধ্যে রাসেলকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ৪ এপ্রিল এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, রাসেল একটি প্রতিষ্ঠানের ভাড়া গাড়ি চালাতেন। গত বছরের ২৮ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর হানিফ উড়ালসড়কে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারান তিনি। এ ঘটনায় রাসেলের বড় ভাই আরিফ সরকার বাসচালক কবির মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় গত বছরের ২৮ এপ্রিল মামলা করেন।