ক্রিকেটারদের বেপরোয়া জীবন রুখতে বিসিবির যত চিন্তাভাবনা
ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে তরুণ ক্রিকেটারেরা। গত তিন বছর ধরে প্রায় নিয়মিত ফাঁস হচ্ছে তাদের একের পর এক কাণ্ডকীর্তি। দর্শক পেটানো, গালাগালি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের নানা নারী কেলেঙ্করিতে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকেটারদের এসব অপরাধের খবর ফলাও করে প্রচার করছে। দেশের মান বাঁচাতে এবার এসব ক্রিকেটারদের লাগাম টেনে ধরার চিন্তাভাবনা করছে বিসিবি।
কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবনে শৃঙ্খলা ফেরাতে দলে একজন মনোবিদ নিয়োগের কথা ভাবছে বিসিবি। পাশাপাশি কোনো সফরে থাকার সময় খেলোয়াড়দের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার চিন্তাও করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে কঠোর শাস্তির বিধান করা হচ্ছে। সংশোধনমূলক উদ্যোগে কাজ না হলে কঠিন পথেই হাঁটবে বিসিবি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথায় স্পষ্ট হয়ে গেল এই কথা।
নাজমুল হাসান বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘ওদের নিজেদেরই ভালো হতে হবে। জোর করে কাউকে ভালো করা যায় না। ওরা নিজেরা ভালো না হলে আমাদের কিছু করার নেই, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।’
বিসিবি সভাপতির কথাটাই হলো আসল কথা। দুটি ম্যাচ খেলে তারকাখ্যাতি পাওয়া এদেশের ক্রিকেটে খুব সহজ। আর তারকাখ্যাতি মানেই হাতে আসে কাঁচা টাকা। এই দুটি জিনিস কোনো ক্রিকেটারের থাকলে তাদের আশেপাশে নারীর অভাব হয় না। কিন্তু এসব তরুণদের চেয়েও বেশি তরুণী ভক্তদের সামলাতে হয় সিনিয়র তারকা ক্রিকেটারদের। তরুণদের এই সামলানোর ইচ্ছাটা তৈরি করতে হবে। যদি কেউ নিজেকে চালাক ভেবে অসৎ কাজে জড়ায়, তবে তাকে ছাড় না দেওয়ার পক্ষে বিসিবি।
শেষ পর্যন্ত এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। নতুবা, মাঠের খেলার থেকে মাঠের বাইরের ঘটনা নিয়েই মাসের পর মাস সরগরম থাকবে ক্রিকেটাঙ্গণ।