ফুটবলারদের সাফল্যের চাবিকাঠি যৌনতা!
স্পোর্টস ডেস্ক: রাশিয়ায় চলছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২১তম আসর। উত্তেজনায় ফুটবলপ্রেমীরা, আলোচনা-সমালোচনায় ফুটবল তারকারা। সেই সঙ্গে ফুটবলারদের স্ত্রী ও প্রেমিকারাও হয়ে উঠেছেন আলোচ্য বিষয়।
আলোচনায় এও উঠে আসছে কোন ফুটবলারের কতগুলি সম্পর্ক। এতে অবশ্য অতীত, বর্তমান; দুটোই জায়গা করে নিয়েছে। শুধু সম্পর্কে যদি কথোপকথন থেমে থাকত, তাও হত। কিন্তু তা তো নয়। চায়ের দোকানে, পাড়ার ক্লাবে বা অফিসের টিফিন টাইমে ফুটবলারদের সেই সব গার্লফ্রেন্ডরা হয়ে উঠছেন হিরোইন। প্রেমের থেকেও সেখানে বড় যৌনতা।
আর হবে নাই বা কেন? ফুটবলাররাও তো কিছু কম যান না। মুখোরোচক গল্প তো তারা নিজেরাই ব্যক্তিগত জীবনে ফেঁদে রেখেছেন। কিন্তু বিজ্ঞানসম্মতভাবে দেখতে গেলে তাদের দোষ দিয়েও লাভ নেই। শিল্পীদের যেমন একাধিক প্রেমের খবর পাওয়া যায়, খেলোয়াড়দেরও তাই। তবে শুধু স্পটলাইটে থাকবেন বলে কিন্তু নয়। শারীরিক চাহিদা এখানে প্রধান ও মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।
বিজ্ঞান বলছে, যৌনতা বেশি করলে নাকি ভাল ফুটবলার হওয়া যায়। শুধু ফুটবলার নয়, অ্যাথলিটদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। একটি সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। একবার অলিম্পিকের কোচ মিক ইয়ংয়ের সঙ্গে সেক্স টয় কোম্পানি আদম ও ইভ একটি সমীক্ষা করেছিল। সেখানে প্রকাশ পেয়েছিল এই মারাত্মক তথ্য। ২১ জন জাতীয় ও কলেজ অ্যাথলিটের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাদের যৌনতা ও হস্তমৈথুনের উপর পরীক্ষা চালানো হয়। দেখা যায়, এই দুইয়ের প্রভাব পড়ে তাদের ক্ষীপ্রতা, গতি, শক্তি ও তৎপরতার উপর।
দেখা যায়, যে সব খেলোয়াড়রা বেশি সঙ্গম করেন, তারা অন্যদের থেকে বেশি জোরে দৌড়াতে পারে ও উঁচু লাফ দেয়। মোটকথা তাদের শক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়। হতে পারে এটি হরমোনের তারতম্যের জন্য। সঙ্গমের ফলে উপকারী হরমোনের নিঃসারণ হয় ও চাপ কমে যায়। ফলে ফুরফুরে থাকা যায়। আর তার প্রভাব পড়ে খেলায়। দ্রুত বেড়ে যায় মনোবল।
প্রাথমিকভাবে এই কাজটি করে হস্তমৈথুন। এর ফলেও খেলায় উন্নতি করতে পারে খেলোয়াড়রা। অনেক সময় সেক্সের থেকে বেশি উপকারী হস্তমৈথুন। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ তৎপরতা বৃদ্ধি পায়, ১৩ শতাংশ শক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে শুধু সেক্স করলেই দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, এমন সিদ্ধান্ত কিন্তু ভুল। এর পুরোটাই নির্ভর করে খেলোয়াড়ের উপর।
তবে সব খেলোয়াড় যে এমন মনে করে, তা নয়। কারও কারও কাছে আবার বিছানার মিলনের কথা মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। আর তার প্রভাব পড়ে খেলায়। এমন ক্ষেত্রে কিন্তু খেলোয়াড়দের ম্যাচের আগে যৌনতা থেকে শতহস্ত দূরে থাকা উচিত।