টানা অনশন আন্দোলনে অসুস্থ ১২৬, হাসপাতালে ৬
৬ষ্ঠ দিনের মত টানা অনশন আন্দোলনে ১২৬ জন শিক্ষক অসুস্থ তাদের মাঝে ৩৫ জনের শরীরে স্যালাইন লাগিয়ে রাস্তার উপর শুইয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া শিক্ষকদের আন্দোলনে গত ২৩ জুন থেকে সারাদেশের নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে তারা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা টানা ছয়দিন ধরে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা ঢাকায় এসে এ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। তাদের উপস্থিতিতে এ আন্দোলন তীব্রতর হয়ে উঠেছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ আর শ্লোগানে প্রেসক্লাব এলাকায় তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এমপিভুক্তির প্রতিশ্রুতি দিলে শিক্ষক-কর্মচারীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে রাজপথ ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যান। আমাদের বিষয়টি বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার কথা থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তা উল্লেখ না করে আমাদের গভীর অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হয়েছে। নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার শরীরে স্যালাইন লাগিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আর পারছি না। না খেয়ে রাস্তায় বসে অনশন পালনে শিক্ষক-কর্মচারীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তবুও আমাদের দিকে কেউ মুখ তুলে তাকিয়ে দেখছে না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের রাস্তায় মরে যেতে হবে।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক গণমাধ্যমকে জানান, টানা ছয়দিনের অনশনে এ পর্যন্ত ১২৬ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৩৫ জনকে স্যালাইন দিয়ে অনশনের মধ্যে শুইয়ে রাখা হয়েছে। ছয়জনকে ঢাকা মেডিলেকে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকে আবার মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুষ্ঠু হয়ে আবারও অনশনে যোগ দিয়েছেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভূষণ রায়ও গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।