১২১টি নতুন গ্রহের সন্ধান পেলো বিজ্ঞানীরা
প্রযুক্তি ডেস্ক: বিজ্ঞানীরা ১২১টি বিশালাকার নতুন গ্রহ চিহ্নিত করছে। নতুন এই গ্রহগুলোর প্রত্যেকটিতেই বসবাসের উপযোগী চাঁদ আছে বলে জানা গেছে। এই চাঁদগুলোর নাম দেয়া হয়েছে এক্সোমুন। খবর স্কাই নিউজের। বিজ্ঞানীরা জানান, এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল জীবনের অস্তিত্ব যে থাকতে পারে এটা এইসব এক্সোমুনের অস্তিত্ব দেখে বোঝা যাচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইড এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডের একদল গবেষক সম্প্রতি অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে এ তথ্য প্রকাশ করেন।
সেখান থেকে জানা যায়, যেসকল চাঁদকে চিহ্নিত করা গেছে সেগুলো মানুষের বসবাসের উপযোগী বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে। এ গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীরা নতুন একটি টেলিস্কোপ ডিজাইন করার পথে এগিয়ে গেলেন, যার মাধ্যমে বহির্বিশ্বের জলবায়ু ও অ্যালিয়েন চিহ্নিত করা যাবে।
২০০৯ সালে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা কর্তৃক কেপলার টেলিস্কোপ প্রতিস্থাপনের পর অন্যান্য সৌরমণ্ডলে হাজার হাজার এক্সোপ্ল্যানেটের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে। কেপলার মিশনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল সৌরমণ্ডলের মধ্যে বিভিন্ন তারাগুলোতে কোনো বসবাসযোগ্য পরিবেশ আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।
টেরেস্ট্রিয়াল প্ল্যানেট অর্থাৎ পাথুরে গ্রহ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের গ্রহ। তবে বিজ্ঞানীরা শুধু পাথুরে গ্রহ খুঁজছেন যে তা নয়, তারা গ্যাস প্ল্যানেট ও খুঁজছেন। গ্যাস প্ল্যানেট হলো এরকম গ্রহ যেগুলোর পুরো আকারটিই গ্যাসে পরিপূর্ণ।
তবে সৌরজগতের অন্যতম গ্রহ জুপিটারও মানুষের বসবাসের উপযোগী নয়, তবে এটির আশপাশে পাথুরে চাঁদ থাকতে পারে। যদিও জুপিটারের অনেকগুলো চাঁদের মধ্যে ইউরোপা নামে একটি চাঁদের বাইরের বরফ জগতের মাঝখানে বিশাল পরিমাণ পানির সমুদ্র থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন।
১৯৯৭ সালে নাসার গ্যালিলিও স্পেসক্রাফটটি ইউরোপার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় পানির হালকা অস্তিত্ব দেখতে পেয়েছিল বলে গেলো মাসে নাসার বিজ্ঞানীরা গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়।
গবেষণা দলটির মুখপাত্র ডক্টর স্টিফেন কেইন জানান, আমাদের সৌরজগতের আটটি গ্রহের কক্ষপথে ১৭৫টির মতো চাঁদের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যদিও এই চাঁদগুলোর অধিকাংশই শনি এবং জুপিটারের কক্ষপথে বিচরণ করে থাকে। এই দুটি গ্রহ সূর্যের বসবাসোপযোগী এলাকার বাইরে অবস্থিত।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইডের অলটারনেটিভ আর্থস অ্যাস্ট্রোবায়োলজি সেন্টারের সদস্য ডক্টর কেইন আরও জানান, পাথুরে এক্সোমুনে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার ফলে আমাদের কাজের পরিসর আরও বিস্তৃত হলো। সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া ১২১টি গ্রহের অধিকাংশই পৃথিবীর অন্তত তিনগুণ বড়।