নরসিংদীতে ট্রেনের ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজন নিহত
নরসিংদী প্রতিনিধি: ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ঘুরতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় নরসিংদী শহরের বাদুয়ারচর এলাকায় রেল সেতুর পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- মো. হাফেজ মিয়া (৪০), তাঁর দুই মেয়ে তারিন আক্তার (১৪) ও তুলি আক্তার (০২)। তারিন ব্রাহ্মন্দী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে হাফেজ মিয়া তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শহরতলীর বাদুয়ারচর এলাকায় নতুন সড়ক ও ট্রেন লাইনের পাশে ঘুরতে যান। এ সময় স্ত্রী রুমা আক্তার নিরাপদে রেল সেতু পার হতে পারলেও হাফেজ মিয়া ও তার সঙ্গে থাকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তারিন আক্তার ও কোলে থাকা দুই বছরের মেয়ে তুলি নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সদর হাপসপাতাল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করেন।
আরও : উল্টাপাল্টা ফল হচ্ছে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে : প্রধানমন্ত্রী
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সায়েম চৌধুরী বলেন, ‘ঈদ আনন্দে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্সে গান বাজানোর কারণে ট্রেন আসার শব্দ না পাওয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
জানা গেছে, নিহত হাফেজ নরসিংদী শহরের বিলাসদী এলাকার রাসেল মোল্লার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থেকে ভেলানগর জেলখানা মোড়ে চায়ের দোকানের ব্যবসা করতেন। তাঁদের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
নরসিংদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের (বিলাসদী এলাকার) কাউন্সিলর মো. কামাল মোল্লা বলেন, ‘হাফেজ ছোট সময় থেকেই আমাদের এলাকায় থাকে। সে বর্তমানে আমার ভাতিজার বাড়িতে ভাড়া থাকত। অনেক ভাল ছেলে ছিল সে। জেলখানা মোড়ে একটি চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। পাশাপাশি সে চায়ের দোকান চালালেও তাঁর ছেলে-মেয়েদেরকে মানুষের মত মানুষ করার জন্য শহরের ভাল ভাল স্কুলে পড়াশুনা করাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ এই দুর্ঘটনা সব ধ্বংস করে দিল।’