ঈদের দিনে খাদ্যগ্রহণে সতর্কতা
রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনা শেষ। আবার আগের মতো স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ফিরে যাবেন সবাই। তবে ঈদের দিন হঠাৎ করে খাবারের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়া ঠিক নয়। এতে হতে পারে হীতে বিপরীত। ঈদের দিনের খাবারের সময় যেসকল সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, চলুন জেনে নেই এ লেখার মাধ্যমে।
১) ঈদে মিষ্টি, কেক, বাদাম, চর্বিযুক্ত খাদ্য খেতে হবে কম পরিমাণে।
আরও : বিশ্বকাপ আসরে রমরমা যৌনব্যবসা, লাখো যৌনকর্মীর সমাগম
অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ ও মশলাযুক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে হবে।
৩) ঈদের দিনে অনেকেরই বদ হজম, বুক জ্বালাপোড়া করার সমস্যা হয়। হঠাৎ করে অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাবার গ্রহণের ফলেই মূলত পরিপাকতন্ত্রের এসব সমস্যা হয়। ঈদের প্রথম দিনে মানুষের খাদ্যগ্রহণের যে বিশাল একটা পরিবর্তন ঘটে এর জন্যই এ সময়টায় অনেকেই পেটের নানা সমস্যায় পড়েন।
৪) অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি ও চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণের কারণে রক্তে চিনি, চর্বির পরিমাণ বেড়ে উচ্চ রক্তচাপ, মুটিয়ে যাওয়া এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের অবশ্যই ঈদের দিনগুলোতে খাবারের ক্ষেত্রে হতে হবে অনেক বেশি সচেতন।
৫) অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে হতে পারে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য।
৬) ফলের জুসও খেতে পারেন। তবে সাত সকালে আনারসের জুস না খাওয়াই ভালো। সকালের নাশতার আধঘণ্টা পর এক-দেড় গ্লাস পানি পান করুন।
৭) বিভিন্ন ধরনের খাবার ফাঁকে ফাঁকে প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাবেন।
৮) খাবারের বেলায় একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প পরিমাণে খাবার খেতে পারেন।
৯) পোলাও, বিরিয়ানি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাবেন না। পোলাও বা বিরিয়ানি খেলে তার সঙ্গে অবশ্যই সালাদ (টমেটো, শসা) খেতে হবে।
১০) খাবারের সময় কোল্ড ড্রিংকস না খেয়ে খেতে পারেন বোরহানি। যেটা হজমে সহায়ক। খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে দই খাওয়া ভালো। ঈদের সময় পানীয় হিসাবে কোমল পানীয় পান না করে ডাবের পানি কিংবা লেবুর শরবত খাওয়া ভালো হবে।
এ জাতীয় আরও খবর

চতুর্থ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাড়ছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন সুবিধা

নষ্ট মেশিনে সয়লাব ঢামেক হাসপাতাল

গাজীপুরে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ৮০ শতাংশ ভোট কেন্দ্র

হজযাত্রীর পাসপোর্টে মক্কা ও মদিনার বাসার ঠিকানা থাকতে হবে
