চার তারকা ফুটবলারের অজানা কিছু মজার তথ্য
স্পোর্টস ডেস্ক।। বিশ্ব সেরা এসব ফুটবলারদের ব্যাপারে হয়তো আপনি অনেক কিছুই জাননেন। তবে আপনি হয়তো জানেন না, যে বিষয়গুলো আজ আমরা তুলে ধরতে যাচ্ছি। আসুন জেনে নিই তারকা ফুটবলার রোনালদো, মেসি, নেইমার আর গ্রিজম্যানের অজানা কিছু মজার তথ্য।
যেভাবে শুরু করেছিলেন রোনালদো : পর্তুগালের রোনালদো বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের প্রথম সারির দুজন খেলোয়াড়ের একজন।
তিনি তার সাফল্যের জন্য আলবার্ট ফানত্রো নামে তার ছোটবেলার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর অবদান হাসিমুখে স্বীকার করেন।
দুজনে জুনিয়র টিমে যখন খেলতেন তখন স্পোর্টিং লিজবন ক্লাবের জন্যে তরুণ উঠতি খেলোয়াড় খুঁজতে একজনকে পাঠানো হলে তাদের খেলা দেখতে। যাদের কিনা বলা হয় স্কাউট।
তেমন একজন স্কাউট তাদের বলেছিলেন আজ যে সবচাইতে বেশি গোল করবেন তাকেই তিনি মনোনীত করবেন।
তো শুরু হল খেলা। দুই বন্ধু একটি করে গোল করলেন। এরপর ফানত্রো এক মোক্ষম সুযোগ পেলেন জালে বল পুরে দেয়ার কিন্তু তিনি বল পাস করে দিলেন রোনালদোকে।
সুযোগ কাজে লাগালেন রোনালদো আর সুযোগ পেয়ে গেলেন স্পোর্টিং লিজবন ক্লাবের হয়ে খেলার।
যা বদলে দিয়েছিলো তার ক্যারিয়ার। তিনি পরে বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন কেন তিনি এমন সুযোগ হাতছাড়া করলেন।
বন্ধুর সহজ উত্তর, “কারণ তুমি আমার চেয়ে ভালো খেলোয়াড়”
এরপর ফানত্রোর ফুটবল ক্যারিয়ারে ইতি ঘটলো। বেকার জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি।
সেসময় এক সাংবাদিক গিয়েছিলেন চমকপ্রদ এই কাহিনী নিয়ে রিপোর্ট করতে তিনি দেখলেন বেকার হলেও দামী বাড়িতে থাকেন ফানত্রো। দামি গাড়িও চড়েন।
সেটি কিভাবে সম্ভব হল জানতে চাইলে হাসিমুখে বললেন, সব ক্রিশ্চিয়ানোর উপহার”
মেসির স্টার হয়ে ওঠার শুরুর গল্প : মেসির এক বন্ধু হুয়ান লেগুইযামো। আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে কিশোর মেসির একটি খেলা সম্পর্কে মজার গল্প বলছিলেন তিনি।
সেই খেলায় পুরস্কার ছিল বাইসাইকেল। খেলা শুরু হয়েছে কিন্তু মেসির দেখা নেই।
আরও : উল্টাপাল্টা ফল হচ্ছে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে : প্রধানমন্ত্রী
লেগুইযামো বলছিলেন, “খেলার প্রথমার্ধ শেষ হল। আমরা ১-০ গোলে পিছিয়ে আছি। তখন এলো মেসি। ঘটনা হল বাথরুমে আটকে পড়েছিলো মেসি। দরজা ভেঙে বের হয়ে তারপরে সে এসেছিলো। ঐ খেলায় আমরা ৩-১ গোলে জিতেছিলাম। মেসি একাই তিনটি গোল করেছিলো”
মেসিকে নিয়ে আরেকটি মজার গল্প হল ১৩ বছর বয়সে যখন তিনি বার্সেলোনা অ্যাকাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন ব্যাপকভাবে কোকাকোলা ভক্ত ছিলেন মেসি।
সে এতটাই বেশি কোকাকোলা পান করেছিলেন যে বাধ্য হয়ে কোকাকোলার সব ভেন্ডিং মেশিন সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলো বার্সেলোনা অ্যাকাডেমি।
বার্সেলোনার সাথে তার প্রথম চুক্তি হয়েছিলো একটি টিস্যু পেপারের উপর কারণ তখন চারপাশে কোন কাগজ ছিল না।
ক্লাবটির একজন প্রতিনিধি তার সাথে সাক্ষাতের সাথে সাথেই কোন ধরনের অপেক্ষা না করে চুক্তি করে ফেলতে চেয়েছিলেন।
দারিদ্র থেকে কিভাবে আজকের জায়গায় উঠলেন নেইমার? : ছোটবেলায় ফুটবলার হওয়ার কোন ইচ্ছেই ছিল না নেইমারের।
বরং পাওয়ার রেঞ্জার্স কমিক বই এর সুপারহিরো হতে চাইতেন তিনি। নেইমারের পরিবার ছিল মারাত্মক দরিদ্র।
পরিস্থিতি এক পর্যায়ে এত ভয়াবহ ছিল যে নেইমারের পরিবার তার দাদা বাড়িতে একটি মাত্র তোশকে গাদাগাদি করে ঘুমাতো।
বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকতো না প্রায় সময়ই। মোমবাতি দিয়ে চলতে হতো। অভাবের কারণে তার বাবা তিনটি চাকরী করতেন।
তাই প্রায় সময়ই নেইমার জুনিয়রের খেলা দেখতে যেতে পারতেন। কিন্তু আজ নেইমার পৌঁছে গেছেন শীর্ষে।
শিশুদের জন্য বই লেখেন ফ্রান্সের আন্তোয়াইন গ্রিজম্যান : ফ্রান্সের স্ট্রাইকার আন্তোয়াইন গ্রিজম্যান। কিন্তু তিনি শুধু যে ফুটবল খেলেন তা নয়।
শিশুদের জন্য প্রকাশিত বই রয়েছে তার। তার অনেকগুলো বইয়ের একটির নাম ‘গোল’।
গ্রিজম্যান বলছিলেন, “অ্যাথলেট হওয়ার জন্য অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে।
আমি এখন বাবা হয়েছি। ব্যক্তি ও খেলোয়াড় হিসেবে আমার যে আদর্শ তা আমি শিশুদের জানাতে চাই। ছোটবেলায় আমি যদি বেকহ্যাম বা জিদান সম্পর্কে এমন বই পেতাম আমি নিশ্চয়ই তা পড়তাম”