‘বন্দুকযুদ্ধে’ টেকনাফের পৌর কাউন্সিলরসহ নিহত ২
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক (৪৬) সহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এই দুই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে নোয়াখালিয়া পাড়ায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একরামুল হন নিহত হন। এ সময় তার লাশের পাশ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, ১ টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ওয়ান শুটার গান, ৬ রাউন্ড গুলি ও ৫ টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
নিহত একরাম টেকনাফ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের খায়ুকখালীপাড়ার মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে এবং একই ওয়ার্ডের পর পর তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন জানান, শনিবার রাতে নোয়াখালিয়া পাড়া থেকে একটি ইয়াবার চালান কক্সবাজার শহরে যাওয়ার কথা ছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব মেরিন ড্রাইডে অবস্থান নেয়। কিন্তু র্যাবের উপস্থিতি টের ইয়াবা পাচারকারীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। র্যাবও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে পাচারকারীরা পিছু হটে। পরিস্থিতি শান্ত হলে সেখানে তারা একরামুলের মৃতদেহ দেখতে পান।
নিহত একরামুল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
আরও : মালিতে জঙ্গি হামলায় নিহত ২০
এদিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. হাছান প্রকাশ ইয়াবা হাছান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৭টি কার্টুজ, ১টি রামদা, ৩টি লম্বা চেনি, ১টি দা ও ১২০পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগাদিয়া ইজতেমা মাঠে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাছান সোনাইমুড়ী পৌরসভার বগাদিয়া মিয়া বাড়ির হানিফ মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল ১১টার দিকে সোনাইমুড়ী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা হাছানকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতে তাকে নিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারের জন্য বগাদিয়া ইজতেমা মাঠ এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা হাছানের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় গোলাগুলিতে ইয়াবা হাছান গুলিবিদ্ধ ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
পরে গুলিবিদ্ধ হাছানকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় পুলিশের কনস্টেবল সোহাগ, জহির মজুমদার ও গোলাম সামদানি আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিহত হাছানের মরদেহ সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে তিনটিসহ থানায় মোট ২১টি মামলা রয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ সুপার।