মুসাফিরের জন্য রোজার যে বিধান
হাফেজ মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন : মুসাফিরের জন্য সফর অবস্থায় রোজা না রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে অস্বাভাবিক কষ্ট না হলে রোজা রাখাই উওম। আর অস্বাভাবিক কষ্ট হলে রোজা রাখা মাকরুহ। এ অবস্থায় রোজা না রেখে পরে তা কাজা করার কথা বলা হয়েছে। (ফাতওয়ায়ে শামী ২/৪২১;বাদায়েউস সানায়ে ২/২৪৮)
হজরত আছিম (রহ.) বলেন, হজরত আনাস (রা.) কে সফরকালে রোজা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যে রোজা রাখবে না সে অবকাশ গ্রহন করল। আর যে রোজা রাখল সে উওম কাজ করল। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬/১৩২)
আরও : জামদানি মেলা প্রদর্শনী উদ্বোধন
সফর অবস্থায় নিয়ত করে রোজা রাখা শুরু করলে তা আর ভাঙ্গা জায়েজ হবে না। কেউ ভেঙ্গে ফেললে গুনাহগার হবে। তবে তার কাফফারা দিতে হবে না। শুধু কাজা করলেই যথেষ্ট হবে। (ফাতওয়ায়ে শামী ২/৪৩১)
হজরত আনাস (রা.) বলেন, কেউ রোজা রেখে সফরে বের হলে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে যদি পিপাসার কারণে খুব বেশি কষ্ট হয় তাহলে রোজা ভাঙ্গতে পারবে, পরে তা কাজা করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা)
মুসাফির সফরের কারণে রোজা রাখেনি, কিন্তু দিন শেষ হওয়ার আগেই মুকিম হয়ে গেল। তাহলে দিনের অবশিষ্ট সময় রমজানের মর্যাদা রক্ষার্থে পানাহার থেকে বিরত থাকবে। তবে পরবর্তী সময়ে এ রোজার কাজা অবশ্যই করতে হবে। হজরত ইবরাহীম নাখায়ী (রহ.) বলেন, যে মুসাফির রমজানের দিনে (সফর অবস্থায়) খানা খেয়েছে সে মুকিম হয়ে গেলে দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬/২২১)