কবিতা আবৃত্তি করে এবং গান গেয়ে শোনালেন রওশন
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তার কবিতা আবৃত্তি করে এবং গান গেয়ে শোনালেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবির স্মৃতি বিজড়িত নজরুল একাডেমি মাঠের নজরুল মঞ্চে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানের সময় কবিতা আবৃত্তি ও গান গেয়ে শোনান তিনি।
নজরুল ইসলামের লেখা ‘কাণ্ডারি হুঁশিয়ার’ ও শিশুদের ছড়া ‘কাঠবিড়ালী’ আবৃত্তি করেন বিরোধীদলীয় নেত্রী। এছাড়া ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ, তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানি তাকিদ’- গানটিও গেয়ে শোনান তিনি।
আরও : মালিতে জঙ্গি হামলায় নিহত ২০
শান্তিনিকেতনের আদলে ত্রিশালে নজরুলনিকেতন গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম পরাধীন বাঙালির মুক্তির বাণী নিয়ে ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব হন। তাঁর গান ও কবিতা স্বাধীনতাসংগ্রামে বাঙালির প্রেরণা যোগায়।
তিনি বলেন, নজরুল তার লেখনীর মাধ্যমে এই দেশের মানুষকে জাগ্রত করেন। তিনি পরাধীন বাংলাকে স্বাধীন করতে তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তিনি তাঁর চিন্তাচেতনা লেখনীর মধ্য দিয়ে সমাজের মানুষের কাছে পৌঁছে দেন।
বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, জাতীয় কবি মুসলমানদের জন্য যেমন লিখেছেন অসংখ্য হামদ-নাত-গজল, তেমনি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য লিখেছেন শ্যামাসংগীত। অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ গড়তে চেয়েছিলেন তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, সালাউদ্দিন মুক্তি, বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, নজরুল গবেষক অনুপম হায়াত, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন।