‘বিএনপি নেতাদের তিস্তার পানি নিয়ে কথা বলার অধিকার নাই’
ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দিল্লিতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। যাদের নেত্রী দিল্লি গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে যায়, তাদের নেতাদের তিস্তার পানি নিয়ে কথা বলার অধিকার নাই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘মহাকাশের নিজ কক্ষে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের চিত্র হবে জাতীয় নির্বাচনের বিজয়’ র্শীষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বিএনপির নেতারা চেঁচামেচি করে বলেন, তিস্তার কী হবে? বাংলাদেশের মধ্যে ছোট-বড় ৫৭টি যৌথ নদী আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিসাব আমরা আদায় করেছিলাম। ভারতের কাছে সমুদ্র জয় করেছি। এক সময় সীমান্তে বাংলাদেশের পতাকা উড়তো না। সেখানে এখন বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে সীমান্ত সমস্যা, সমুদ্র সমস্যা সমাধান হয়েছে, ঠিক একই ভাবে যথাসময়ে তিস্তার সমাধান হবে।
মাদক অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন মাদকের বিরুদ্ধে সাড়শি অভিযান চলছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক অস্ত্র আছে। তাদের সঙ্গে পুলিশের এনকাউন্টার হচ্ছে। অনেকেই মারা যাচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপির অনেক মাথাব্যথা।
আরও : মালিতে জঙ্গি হামলায় নিহত ২০
এর কারণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, উনাদের পরিবারের অনেকে তো বিদেশে অকালে মারা গেছেন। যে দলের নেতাদের মাদকাসক্তির কারণে বিদেশে মৃত্যুবরণ করে, যাদের নেতারা টেলিভিশনের সামনে কথা বলার সময় স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না, তারা মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে একটু প্রশ্ন তুলবে এটাই স্বাভাবিক।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজকে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে অনেক খুশি। মানুষ শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ দিচ্ছে। যে যত কথাই বলুক, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং চলবে। মাদকবিরোধী অভিযানে কে সাদা, কে কালো তা দেখা হচ্ছে না এবং দেখা হবে না। কে কোন দলের, কে কোন মতের, কে কোন পথের তা দেখা হবে না। যারাই এর সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিবে। তবে বিএনপির নেতারা আমাদের নেতাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন। এটি করে লাভ হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী আহমেদ পরস্পর বিরোধী কথা বলেন। রিজভী আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন এ সফর ইতিবাচক। এখন আমরা বুঝে উঠতে পারছি না তাদের দলের বক্তব্য কোনটা? মওদুদ আহমেদও বলছেন আরেক কথা। তিন নেতার তিন ধরনের কথার মূল কথা হচ্ছে শেখ হাসিনার সাফল্যে তারা এখন কথা হারিয়ে ফেলেছেন। কে কী বলবেন এখন বুঝতে পারছেন না। নিজের ঘরে যারা মাদকের সঙ্গে আসক্ত তাদেরকে ঠিক করে পরে কথা বলার আহ্বান করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। আমাদেরসময়