আমার বাবা মায়ের দোয়ার কারণে আজকের এই বিশেষ সাফল্য: রশিদ খান
স্পোর্টস ডেস্ক: আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান ডানহাতের কবজির জোরে গত বছর দুয়েক ধরেই সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে যাচ্ছেন। যতদিন যাচ্ছে, ততই পরিণত ও ক্ষুরধার হয়ে উঠছেন রশিদ খান। প্রতিনিয়ত বিস্ময় উপহার দিয়ে চলেছেন তিনি। আফগানিস্তানের জার্সি গায়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে যেমন উজ্জ্বল, তেমনি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়েও বল হাতে আগুন ঝরিয়ে নতুন নতুন অর্জনে নিজের নাম লেখাচ্ছেন আফগান এই তরুণ ক্রিকেটার। এখনো টেস্ট ফরম্যাটে অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছে আফগানিস্তান। এই ফরম্যাটেও নিশ্চয় বল হাতে আগুন ঝরাবেন এ বোলিং বিস্ময়।
গেল দুই বছরে বিশ্ব ক্রিকেটে উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হয়েছেন রশিদ খান। প্রতি ম্যাচেই জ্বল জ্বল করে জ্বলছেন। যার আভায় সুশোভিত হচ্ছে দলগুলো।
এবারের আইপিএলেও এর ব্যত্যয় ঘটছে না। ১৯ বছর বয়সী রশিদই হয়ে উঠেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলিং আক্রমণের সেরা অস্ত্র। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ফাইনালে তুলে আবারও এর প্রমাণ দিলেন আফগান ক্রিকেটের এ বিস্ময় বালক। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে কলকাতার তিন বাঘা ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
এদিকে, তার এমন দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকারের মনের সকল সংশয় দূর হয়ে গিয়েছে। এতোদিন ধরে রশিদকে ভালো একজন স্পিনার হিসেবে দেখলেও, এখন থেকে শচীনের চোখে ১৯ বছর বয়সী রশিদই বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি স্পিনার।
আরও : মালিতে জঙ্গি হামলায় নিহত ২০
শুক্রবারের (২৬ মে) ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে রশিদের ব্যাপারে নিজের অভিব্যক্তি জানান শচীন।
তিনি লিখেন, ‘সবসময় ভাবতাম রশিদ খান একজন ভালো স্পিনার। তবে এখন থেকে আমার আর বলতে দ্বিধা নেই যে টি-টোয়েন্টিতে রশিদই বিশ্বের সেরা স্পিনার। এছাড়া মনে রাখবেন তার কিন্তু ব্যাট হাতেও যথেষ্ট প্রতিভা রয়েছে। অসাধারণ একজন ক্রীড়াবিদ।’
কেন তার এই সাফল্য এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে একাধিকবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, দলে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। সমর্থকদের ভালবাসাও কাজে লাগছে। বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের দোয়ার কারণে আমার আজকের এই সাফল্য।
আইপিএলের ১১তম আসরের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুক্রবারের (২৬ মে) ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১০ বলে ২ চার এবং ৪ ছক্কায় ৩৪ রান করেন রশিদ, বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন এবং ফিল্ডিংয়ে ৩টি ক্যাচের পাশাপাশি ১টি দুর্দান্ত রানআউটও করেন আফগানিস্তানের এই তরুণ।
ফাইনালের আগ পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে ২১টি উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকাতেও রয়েছেন তিনি। এ আফগান ক্রিকেটার গত আইপিএলও মাতিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।