কোটা নিয়ে আর আলোচনার কী দরকার
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের পর কোটা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি আবারও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা নিয়ে আর আলোচনার কী দরকার? বুধবার (২ মে) গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক শ্যামল দত্তের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ওই সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় কোটা সংস্কার বিষয়ে আন্দোলনের পর কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করা হবে কিনা তা জানতে চান ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
এর উত্তর দিতে গিয়ে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের বিষয়ে আবারও উষ্মা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ কোনও কথাবার্তা নাই, কোটা চাই না বিষয়ে আন্দোলনের শুরু। তাও যেন তেন আন্দোলন না, রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন। এমনিতেই যানজট, সেখানে (শাহবাগ) তিন তিনটা হাসপাতাল, রোগী যেতে পারছে না এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি … আমরা বসে থাকিনি, আমরা চেষ্টা করেছি তাদের বোঝাতে। কোটা থাকবে কী থাকবে না এটা তো সরকারের নীতি নির্ধারণী বিষয়।’
আন্দোলনকারী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা পড়ে তারা তো নামকা ওয়াস্তে পয়সা দিয়ে পড়ে। তাদের তো আমরা সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় পড়াই। একটা ইউনিভার্সিটিতে তারা যে হলে থাকে যে টাকায় তারা থাকে, যে টাকায় খাবার পায়, যে টাকায় চলে সেটা কি সম্ভব? শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেগুলোর উন্নয়ন করেছি আমি। নতুন নতুন বিষয় চালু করাতে উদ্বুদ্ধ করেছি। তারপরেও তারা আন্দোলন করেছে তারা কোটা চায় না। এরা আমার নাতির বয়সি। তারা চায় না,আমি মেনে নিয়েছি। সেটা নিয়ে এত আলোচনার কী দরকার, প্রশ্ন আমারও।’
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে কুরুচিপূর্ণ কথা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। জিয়াউর রহমান যদিও মু্ক্তিযোদ্ধা কিন্তু সে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। তার সময়ে চাকরি না পাওয়ার ভয়ে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা লিখেনি। তারা যে মুক্তিযোদ্ধা আমি জানি। অনেকে এখন বড় কর্মকর্তা। আর কোটায় যারা চাকরি পায় তারাও মেধাবী। জেনারেল পরীক্ষায় পাস করার পরেই তো কোটা।
এখন কোনও কোটা নাই। চাকরির ক্ষেত্রে কোনও জেলা যদি বাদ পড়ে আমাদের কিছু করার নাই। যারা আন্দোলন করেছে তাদের ছবিও রেকর্ড করা আছে। যদি তাদের কেউ বাদ পড়ে তাও কিছু করার নাই।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য থেকে তারেক রহমানকে ফেরানোর বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া, ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শাস্তি, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইত্যাদি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়।