দ্রুতই ফিরছেন স্মিথ-ওয়ার্নাররা!
স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে তারা অবশ্যই ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শেষ কয়েকটি দিনকে মুছে দিত। কারণ তাদের ইতিহাসে শেষ কয়টি দিন ছিল কলঙ্কজনক অধ্যায়। এ বছরেরই মার্চ মাসের ২৭ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে বল টেম্পারিংয়ের মতো জঘন্য কাজ করেন ক্যামরন ব্যানক্রাফট। যার মূলে ছিলেন সহ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। পরবর্তীতে ক্যামেরার মারফতে ধরা পড়লেও প্রথমে অস্বীকার করেন ব্যানক্রাফট। কিন্তু তৃতীয় দিনের খেলা শেষে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বল টেম্পারিংয়ের কথা স্বীকার করেন অধিনায়ক স্মিথ ও ব্যানক্রাফট। পাশাপাশি সেখানে বলেন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারও।
শেষ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অস্ট্রেলিয় ক্রিকেট বোর্ড স্মিথ ও ওয়ার্নারকে ১ বছর এবং ব্যানক্রাফটকে ৯ মাসের জন্য সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে। পাশাপাশি বলা হয় পরবর্তীতে আর অধিনায়কের জন্য বিবেচিত হবেন না ওয়ার্নার। তাদের এত বড় শাস্তিতে বিশ্ব ক্রিকেটে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই বলেন লঘু পাপে গুরু দণ্ড পেয়েছেন স্মিথরা।
ক্রিকেটের রথী মহারথীদের কথার রেশেই কিনা দুই মাস না যেতেই উল্টো সুর শুনা যাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখে। গতকাল এক মন্তব্যে সিএ’র প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, আরও একবার সুযোগ পাওয়া উচিত স্মিথ-ওয়ার্নারদের। একই সঙ্গে ক্রিকেটারদের নৈতিকভাবে দৃঢ় করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা এড়াতে ব্যবস্থা নিয়েছে সিএ।
এদিকে সিএ’র নির্বাহী পরিচালক সিমনের নেতৃত্বে একটি এথিক্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেটি ক্রিকেটারদের নৈতিক শিক্ষা দেবে। একইসঙ্গে সাবেক টেস্ট ওপেনার রিক ম্যাককস্কারের নেতৃত্বে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেছে বোর্ড। কমিটিতে আরো আছেন নতুন অধিনায়ক টিম পেইন, প্যাট কামিন্স, নারী দলের অধিনায়ক রাচেল হায়নেস এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের পক্ষে আছেন শেন ওয়াটসন ও জর্জ বেইলি। ক্রিকেটারদের গতিবিধি নিয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে সেটি তদন্ত করবে এই কমিটি।
সাদারল্যান্ডের মতে তিনজনই প্রতাপের সাথেই ফিরে আসবেন দলে, সুযোগটা তাদের প্রাপ্য। আমি তিনজনকেই অনুভব করি। আমি তাদের জন্য ক্ষমা অনুভব করি। আমি তাদের সমব্যথী। আমি তাদের ফিরে আসতে ও সর্বোচ্চ খেলাটা খেলতে দেখতে চাই। আমি বিশ্বাস করি তারা পারবে।