গেইলের পাঞ্জাবকে হারালো সাকিবের হায়দরাবাদ
স্পোর্টস ডেস্ক : আগের ম্যাচে ইনজুরির কারণে মূল স্কোয়াডে ছিলেন না। তবুও জয় পেতে কষ্ট হয়নি। এ ম্যাচে স্কোয়াডে থেকেও দলের হারকে রুখতে পারলেন না ক্যারিবীয়ান এ দানব। এদিন তিনি ছিলেন পুরাই নিষ্প্রভ। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। যার ফলে দলও দেখেছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় পরাজয়।
বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধি স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ রূপ দেন পাঞ্জাবের বোলাররা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঞ্জাবের বোলারদের তোপে পড়ে হায়দরাবাদ। প্রথম ওভারেই দলীয় ১ রানে অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে হারিয়ে ফেলে হায়দরাবাদ। শুরুর ধাক্কা সামলাতে থাকা হায়দরাবাদকে তৃতীয় ওভারেই আরেক ঝটকা দেয় পাঞ্জাব। দলীয় ১৬ রানে ধাওয়ানের উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় হায়দরাবাদ। এরপর পাঞ্জাবের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তেমন কেউই দাঁড়াতে পারেনি।
মাঝখানে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করে দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যান মানিশ পান্ডে। এদিন ৫১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৫৪ রান করে দলীয় ১২৮ রানে পঞ্চম উইকেট হিসেবে আউট হন। তার আগে দলীয় ৭৯ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে সাকিব ২৯ বলে ৩ চারে ২৮ রান করে আউট হন। শেষ দিকে ইউসুফ পাঠানের ১৯ বলে ২১ রানে ইনিংসে দলীয় স্কোর ১৩২ রানে গিয়ে ঠেকায় হায়দরাবাদ।
পাঞ্জাবের পক্ষে আঙ্কিত রাজপুত একাই তুলে নেন হায়দরাবাদের ৫ উইকেট। আরেকটি উইকেট নেন আফগানিস্তানের বিস্ময় মুজিব উর রহমান।
১৩২ রানে মামুলি টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে গেইল ও লোকেশ রাহুলের ব্যাটে প্রথম ৮ ওভারেই ৫৫ রান তুলে ফেলে পাঞ্জাব। এ পর্যন্ত ব্যাটিং দেখে মনে হয় পাঞ্জাব ম্যাচটি সহজেই জিতে যাবে। কিন্তু এরপরই পর পর দুই ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রশিদ খান ও বিসাল থাম্পি। টানা দুই ওভারে গেইল ও রাহুলকে তুলে নেন এ দু’জন। এরপর মায়ান্ক আগারওয়াল কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তাকে দলীয় ৭৭ রানে ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান।
এরপর পাঞ্জাবের ওপর একযোগে হামলে পড়ে হায়দরাবাদের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদের বোলারদের তোপে পড়ে ১৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানে গিয়ে থামে পাঞ্জাবের ইনিংস। সেই সঙ্গে ১৩ রানে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পায় পাঞ্জাব।
হায়দরাবাদের পক্ষে রশিদ খান ৩টি, সন্দ্বীপ শর্মা, বাসিল থাম্পি ও সাকিব আল হাসান ২টি করে উইকেট লাভ করেন। অনবদ্য ইনিংসের জন্য হায়দরাবাদের রাজপুত প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিজের করে নেন।
সাত ম্যাচ শেষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৫ জয় ও ২ পরাজয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে রান ৫ জয় ও ১ পরাজয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। সাত ম্যাচে ৫ জয় ও ২ পরাজয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।