প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান রকিবুল হাসান তাই এবারও পেলেন না সঙ্গী। ২০০৭ সালের মার্চে জাতীয় লিগে বরিশালের হয়ে অপরাজিত ৩১৩ রান করেছিলেন রকিবুল।
গত ডিসেম্বরে জাতীয় লিগে লিটনের চেয়েও অনেক কাছে গিয়েছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু আউট হয়ে যান ২৯৫ রানে। তার আগে মার্শাল-মোসাদ্দেকরাও পারেননি কাছে গিয়ে।
১২৫ বলে ১৩৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিলেন লিটন। দিনের শুরুতে বেশি আগ্রাসী ছিলেন আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান আফিফ। প্রথম ঘণ্টায় লিটন ছিলেন একটু ধীরস্থির। সময়ের সঙ্গে তার ব্যাটেও আবার এসেছে রানের জোয়ার। লাঞ্চের আগের ওভারে বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানিকে বাউন্ডারি মেরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মাত্র ১৯০ বলেই।
লাঞ্চের পরও লিটন ব্যাট করে গেছেন একই ছন্দে। ইনিংসের দ্বিতীয় ছক্কা মারেন সেই সানিকেই। মধ্যাঞ্চলের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান অনিয়মিত বোলার আব্দুল মজিদের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবার স্পর্শ করেন আড়াইশ।
নিজের ট্রিপলের অভিযানে ছোটার পথে হাতছানি ছিল আফিফের সঙ্গে জুটির ট্রিপল সেঞ্চুরির। হয়নি অল্পের জন্য। সানির বলে ক্যারিয়ার সেরা ১৪২ করে আউট হয়ে যান আফিফ। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ২৯৮ রানের জুটি।
বড় জুটির সঙ্গীকে হারানোর পর পথ হারালেন যেন লিটনও। আড়াইশর পর কমিয়েছিলেন রানের গতি। খেলছিলেন সাবধানে। আড়াইশর পর চার মেরেছিলেন কেবল একটিই। লক্ষ্য ছোঁয়া হলো না তবু। সেই সানির বলেই এলবিডব্লিউ। ৩৫ চার ও ২ ছক্কায় ২৯৩ বলে ২৭৪।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস:
রান |
ব্যাটসম্যান |
ম্যাচ |
ভেন্যু |
মৌসুম |
৩১৩* |
রকিবুল হাসান |
বরিশাল-সিলেট |
ফতুল্লা |
২০০৬-০৭ |
২৯৫ |
নাসির হোসেন |
রংপুর-বরিশাল |
চট্টগ্রাম |
২০১৭-১৮ |
২৮৯ |
মার্শাল আইয়ুব |
মধ্যাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল |
বগুড়া |
২০১২-১৩ |
২৮২ |
মোসাদ্দেক হোসেন |
বরিশাল-চট্টগ্রাম |
বিকেএসপি-২ |
২০১৪-১৫ |
২৭৪ |
লিটন কুমার দাস |
পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল |
রাজশাহী |
২০১৭-১৮ |