ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরতেই কাজ করছে সরকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামকে শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে বলেছেন, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা মানুষের কাছে তুলে ধরতেই তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই শান্তি যেন বজায় থাকে সেইদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি।’
এই দেশে সব ধর্মের মানুষ বাস করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক ধর্মের মানুষই এদেশে স্বাধীনভাবে তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে। এটাই ছিল জাতির পিতার চেতনা এবং চিন্তা। তাই তিনি বলেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়, বরং ধর্ম পালনের স্বাধীনতা। যেটা ইসলামেরও মূল কথা। কারণ, ইসলাম ধর্ম সব ধর্মকে সম্মান করে। বাংলাদেশ সেভাবেই একটি অসম্প্রতায়িক চেতনায় গড়ে উঠবে, আমরা সেটাই চাই।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৯টি স্থানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
এই ধর্মের প্রচার ও প্রসারে জাতির পিতা আরো অনেক কাজ করে দিয়েছিলেন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামের নাম নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে ধর্মের মূল শিক্ষা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া এবং নিরীহ মানুষ হত্যা করে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের এই পবিত্র ধর্মের সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে। আমরা চাই-ধর্মের মর্যাদা সমুন্নত থাকবে।
তিনি বলেন, আজকে জাতির পিতা আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু এই দেশটা তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন এই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে সে পথে যাত্রাও শুরু করেছিলেন কিন্তু, তা আর সম্পন্ন করতে পারেননি। কারণ ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আর এরপরেই বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাটা যেন মানুষ পায় এবং ইসলামী সংস্কৃতিটা মানুষ যেন ভালভাবে রপ্ত করতে পারে, চর্চা করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি জেলায়-উপজেলায় আমরা ৫৬০টি মডেল মসজিদ তৈরি করে দেব। যেখানে সত্যিকারভাবে ইসলাম ধর্মের চর্চা হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে নিয়ে আসাতেও তার সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে জাতির উদ্দেশ্যে বেতারে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ভাষণের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা ইনসাফের ইসলামে বিশ্বাসী। আমাদের ইসলাম হযরত নবী করিম (সা.) ইসলাম। যে ইসলাম জগৎবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে-ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র।