মায়ের ওপর নির্ভরশীল ঋত্বিকার কথা
বিনোদন ডেস্ক : সমসাময়িক বা নতুন, কারও সঙ্গেও তার কোনও প্রতিযোগিতা নেই। কারণ তিনি মনে করেন, দ্বিতীয় কোনও ‘ঋত্বিকা সেন’ হতে পারে না। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘রাজা রানি রাজি’।
অভিনয় জীবনে তিনি সবচেয়ে বেশি শিখেছেন মায়ের কাছ থেকে। কোথাও গেলে তার সব প্রস্তুতি সেরে দেন মা। এমন মায়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্বটা বন্ধুদের চেয়েও বেশি। আমি মনে করি, বয়স অনুযায়ী অনেক কিছু করে ফেলতে পেরেছি। অনেকটা পথ লড়াই করে এসেছি। এখনও অনেকটা পথ বাকি। যেভাবে আমার অভিনয় পরিণত হচ্ছে, আমি খুবই খুশি।
আমার মা আমায় শিখিয়েছে, কখনও ভয় না পেতে। ভয় পাওয়াটাই কিন্তু ভয়ের বিষয়। আমি আগের তুলনায় কম ছবি করি। কিন্তু দর্শক আমায় এখনও সমান ভালোবাসেন। যখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শো করতে যাই, তারা কিন্তু আমায় এখনও পুরনো ছবির সংলাপ বলতে অনুরোধ করেন। এমনকি কোন সংলাপ বলতে হবে, সেটাও তারাই বলে দেন। এত ভালোবাসার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
আর নতুনরা আসছে, সেটা তো ভালোই। ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। প্রত্যেকেই আলাদা হবে। কেউ তো আর দ্বিতীয় ঋত্বিকা সেন হতে পারবে না। তাহলে আর ভয় কীসের! টিপিক্যাল গ্ল্যামারাস বাণিজ্যিক ছবির নায়িকা হব, না ইন্টেলিকচুয়াল ছবি করব, সেটা কখনও আলাদা করে ভাবতে বসিনি। যেই স্ক্রিপ্ট পছন্দ হয়, সেটায় রাজি হই।
মা আমায় ছোট থেকে আমায় সাপোর্ট করেছে। আমায় একটা কথা বারবার বলত, ‘তোমার প্যাশন যেদিকে, সেটাই করবে। চুল কাটতে ভালো লাগলে সেটাই করবে। আমি কখনও বলব না, কেন নাপিত হতে চাও’। আমি পাঁচ বছর বয়স থেকে কাজ করছি। সেখানে বাড়ির লোকের ভূমিকা না থাকলে চলত না। বাবার চেয়েও মা বেশি গাইড করেছে। কত কিছু শিখেছি মায়ের কাছ থেকেই। শি ইজ মাই রোল মডেল।
আমি কিন্তু কোনোদিনই ক্যারিয়ারের কোনও সিদ্ধান্ত মায়ের মতো নিয়ে নিইনি। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, একদম ছোটতেও কিন্তু মা আমাকেই বলত, ‘তোমার যেটা ঠিক মনে হবে, সেটা করবে’। তবে মা অনেক কিছু বুঝিয়ে দিত। আমি রোম্যান্স বিষয়টা বোঝার আগেই রোমান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করেছি। সে সময়ে পরিচালকের চেয়ে মায়ের কাছে অনেক বেশি কিছু বুঝেছি। ‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট লাভ’এ রবিজি (কিনাগি, পরিচালক) আমায় বলতেন, ‘জিৎদা কো ঝাড়ি মারো, ঝাড়ি কিউ নেহি মার রহে হো’।
আমি তো ব্যাপারটা কী বুঝতেই পারছিলাম না। ঝাড়ি মারা কী, সেটা মা-ই আমায় বুঝিয়ে দিয়েছিল। আমায় বলল, ‘স্টেয়ার, স্টেয়ার করো’। এই রকম অনেক জিনিস আমি কিন্তু মায়ের কাছে শিখেছি। কিন্তু মা আমায় সব সময় নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে শিখিয়েছে। ঠিক বা ভুল— সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, দু’টো থেকেই তো আমি শিখছি।
অনেক ছোট থেকে কাজ করছি, সব কাজই আমার কাছে স্পেশ্যাল। কিন্তু ‘বরবাদ’এরপর আমি আর বনি এতটা ভালোবাসা পেয়েছিলাম দর্শকের কাছ থেকে যে, আশা করার জায়গাটা বেড়ে গিয়েছে। ‘বরবাদ’এর সময় আমি আর বনি দু’জনেই খুব নতুন ছিলাম। এখন অভিনয় অনেক বেশি পরিণত হয়েছে। ফ্রেম বুঝতে শিখেছি। সো আই অ্যাম ভেরি এক্সাইটেড ফর দ্য ফিল্ম।