টাইগারদের পরবর্তী মিশন
স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি বছরের শুরু থেকেই ভীষণ ব্যস্ত ছিল জাতীয় ক্রিকেট দল। জানুয়ারি থেকেই শুরু হয় ত্রিদেশীয় সিরিজ। তারপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরি। তারপর মার্চে আবার শ্রীলঙ্কার মাটিতে ত্রিদেশীয় নিদাহাস ট্রফি। টানা ম্যাচের ধকল সামলানোর জন্য এবার বেশ কিছু সময় পাচ্ছে টাইগাররা। এপ্রিল-মে—এই দুই মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো ব্যস্ততা নেই মাশরাফি-সাকিবদের। তারপর আবারও শুরু হবে ব্যস্ততা।
জুনের শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে বাংলাদেশ ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। ২০ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়ার পর ২৮ জুন অ্যান্টিগায় প্রস্তুতি ম্যাচ। একই ভেন্যুতে প্রথম টেস্ট শুরু ৪ জুলাই। জ্যামাইকায় দ্বিতীয় টেস্ট ১২ জুলাই। ২২ জুলাই এবং ২৫ জুলাই গায়ানায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় ওয়ানডে। ২৮ জুলাই সেন্ট কিটস সিরিজের শেষ ওয়ানডে। একই মাঠে ৩১ জুলাই প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলার পর আমেরিকার ফ্লোরিডায় ৪ ও ৫ আগস্ট সিরিজের শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে সাকিব বাহিনী।
আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে টাইগারদের অস্ট্রেলিয়া সফর। কিন্তু এই সফর নিয়ে আবারও টালবাহানা শুরু করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ‘অফ সিজনে’ ডারউইন-কেয়ার্নসে টেস্ট সিরিজ খেলাটা আর্থিকভাবে লাভজনক হবে না- এমন ভাবনায় সিরিজ স্থগিত করার কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পরে সুবিধাজনক সময়ে সিরিজটি আয়োজনের প্রস্তাব সিএর। আর টেস্ট ম্যাচের বদলে ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।
সেপ্টেম্বরে শুরু হবে এশিয়া কাপ। এখনো পর্যন্ত এশিয়া কাপের আয়োজক হিসেবে ভারতের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে আসরটি মাঠে গড়ানো নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সেই পুরনো দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশও এশিয়া কাপের আয়োজক হতে পারে। অক্টোবর-নভেম্বর কাটবে বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসর নিয়ে। নভেম্বরের শেষে বাংলাদেশে ফিরতি সফরে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এসবের আগে আগামী দুই মাস মোটামুটি বিশ্রামেই কাটাবেন টাইগাররা। তার মানে একেবারে ঘরে বসে থাকা নয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) খেলবেন অনেকেই। তাছাড়া এই অবসরটা দীর্ঘ যাতে না হয়, সেজন্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিবি। জুনের শুরুতে এই সিরিজ হতে পারে। গোটা বছরটাই এভাবে ব্যস্ততায় কাটবে টাইগারদের।