আবার ইউএস-বাংলার ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের বেসরকারি ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মধ্যে ঢাকায় জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে উড়োজাহাজকে। তবে মারাত্মক কোনো সমস্যা না পাওয়ায় কিছু সময় পর মালয়েশিয়াগামী উড়োজাহাজটি ঢাকা ছেড়ে যায়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। চলতি মাসেই নেপালে এই এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ গেছে ৫১ জনের।
রেজাউল করিম বলেন, বিমানে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। বিমানটি উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পর মনিটরে একটি সতকর্তামূলক সাইন দেখতে পান পাইলট। কিছুক্ষণ পর সেটি আবার চলে যায়। তবে পাইলট তখনও যেহেতু ঢাকার আকাশেই ছিলেন তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে আবার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। উড়োজাহাজটিতে ১৬৪ জন যাত্রী ছিলেন। পরে সমস্যার সমাধান করে সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি নিয়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফ্লাইটটি আবার রওনা দিয়েছে।
কামরুল ইসলাম বলেন, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিএস-৩১৫ উড়োজাহাজটি শনিবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ১৬৪ জন যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। উড়োজাহটি উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পর মনিটরে একটি সতকর্তামূলক সাইন দেখতে পান পাইলট। কিছুক্ষণ পর সেটি আবার চলে যায়। তবে পাইলট তখনও যেহেতু ঢাকার আকাশেই ছিলেন তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে আবার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এরআগে ২০ মার্চ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশে উড্ডয়নের ১৮ মিনিটের মধ্যে আবারও ঢাকায় জরুরি অবতরণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ। আর তার আগে ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রাণ যায় ৫১ যাত্রীর।