সামনে ব্যস্ত সূচি বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্ক : জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে শুরু। টানা তিন মাস ভীষণ ব্যস্ততার পর এখন একটু জিরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ দল। এপ্রিল-মে—এই দুই মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো ব্যস্ততা নেই মাশরাফি-সাকিবদের। জুনের শেষ সপ্তাহে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করলেও সফরের প্রথম টেস্ট শুরু হতে হতে জুলাই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য বিরতিটা বেশি লম্বা করতে চাইছে না। বাংলাদেশ দল যেন জুনের শুরুতেই মাঠে নামতে পারে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা চলছে সে কারণেই। তবে ভারতের নইডায় আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা থেকে গেছে। বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, সিরিজটা হবে কি হবে না, সেটি অনেকটা নির্ভর করছে শুক্রবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সুপার সিক্সে আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচের ফলের ওপর।
যদি আফগানিস্তান-সিরিজ হয়, সেটির সপ্তাহ খানেক পর বাংলাদেশ ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি খেলতে উড়াল দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সাকিব-তামিমদের ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০ জুন পৌঁছানোর কথা। ২৮ জুন অ্যান্টিগায় একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। একই ভেন্যুতে প্রথম টেস্ট শুরু ৪ জুলাই। জ্যামাইকায় দ্বিতীয় টেস্ট ১২ জুলাই। গায়ানায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুরু ২২ জুলাই। একই মাঠে পরের ওয়ানডে ২৫ জুলাই। সেন্ট কিটস সিরিজের শেষ ওয়ানডে ২৮ জুলাই।
৩১ জুলাই সেন্ট কিটসেই তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলেই বাংলাদেশ চলে যাবে মার্কিন মুলুকে। ৪ ও ৫ আগস্ট ফ্লোরিডায় ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি।
ক্যারিবীয় সফরের পরপরই অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সফরটা ঝুলে আছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) অনাগ্রহের কারণে। ‘অফ সিজনে’ ডারউইন-কেয়ার্নসে টেস্ট সিরিজ খেলাটা আর্থিকভাবে লাভজনক হবে না—এ ভাবনায় সিরিজ স্থগিত করার কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পরে সুবিধাজনক সময়ে সিরিজটি আয়োজনের প্রস্তাব সিএর।
সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের ব্যস্ততা এশিয়া কাপ নিয়ে। এখনো পর্যন্ত এশিয়া কাপের আয়োজক হিসেবে ভারতের নাম শোনা যাচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বরে বিপিএল-ব্যস্ততা। নভেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
জুনের পর টানা ছয় মাস ব্যস্ত সূচি থাকায় এপ্রিল-মের বিরতিটা কাজে দেবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ, ‘আফগানিস্তান সিরিজের পরপরই আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাব। সেখান থেকে এসে এশিয়া কাপ। খুব একটা বিরতি নেই। এরপর বিপিএল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে আসবে (জানুয়ারিতে)। টানা খেলা থাকায় খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। সামনের দুই বছর ভীষণ ব্যস্ত সূচি বাংলাদেশের। চোট কিংবা ছন্দ হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকছে। অনেক খেলোয়াড় স্ট্যান্ডবাই রাখতে হবে। দুটি দল প্রস্তুত রাখতে হবে। চোট একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
তবে একেবারেই যে ঝাড়া হাত-পায়ে আগামী দুই মাস খেলোয়াড়েরা বসে থাকবেন, তা নয়। খেলোয়াড়দের অনেকেই ব্যস্ত থাকবেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) নিয়ে।