ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাব-রেজিস্ট্রার এছহাক দলিলে সই করছেন এবং অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ড্রয়ারে রাখছেন। কিছুক্ষণ পর আবার ওই টাকা এক করে নিজের প্যান্টের পকেটে রাখছেন।
কয়েক দিন ধরে জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তার সঙ্গে দলিল লেখকদের বিরোধ চলে আসছিল।
তাদের অভিযোগ ছিল, টাকা ছাড়া কোনো ফাইল ও দলিল সই করেন না সাব রেজিস্ট্রার এছহাক আলী মন্ডল। আর মন্ডলের দাবি ছিল ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষক কয়েকজন দলিল লেখক অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
দুই পক্ষের মধ্যকার এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ পায় একটি ভিডিও, যেখানে সাব রেজিস্ট্রারকে দেখা গেছে প্রকাশ্যে ঘুষ নিতে।
আড়াইহাজার উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সেক্রেটারি নূরুল আমিন জানান, আড়াইহাজারের সাব-রেজিস্ট্রার গত ২ মাস আগে বদলি হওয়ার কারণে জেলার বন্দর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার এছহাক আলী ম-লকে সেখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সেখানে যোগ দেওয়ার পর থেকেই প্রতিটি দলিলের জন্য মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবি করেন দলিল লেখকদের কাছে। তার দাবিকৃত ঘুষ না দিতে পারলেই সেই দলিল আর রেজিস্ট্রি হয় না। তার ঘুষ চাওয়া ও অন্যান্য অনিয়মের কারণে দেড় শতাধিক দলিল লেখক গত বুধবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন।
সাব-রেজিস্ট্রার এছহাক আলী ম-ল বলেন, সমিতির একটি অংশের অবৈধ চাপে নতি স্বীকার না করায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তিতে ফেলেছেন দলিল লেখকরা।