তামাররাকে আনুন, আমি খাওয়ালে ও সুস্থ হয়ে যাবে’
নিউজ ডেস্ক : পাঁচ মিনিট পর পর সন্তানের কথা বলছেন নেপালে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে স্বামী ও সন্তানহারা আলমুন নাহার অ্যানি। একই দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। আহত অ্যানি বারবার তার আড়াই বছরের মেয়ে তামাররা প্রিয়ময়ীকে দেখতে চাচ্ছেন। যাকেই দেখছেন তার কাছেই দুই হাত তুলে আঁকুতি জানাচ্ছেন মেয়েকে পাওয়ার জন্য।
বলছেন, আমাকে আমার সন্তানে কাছে নিয়ে চলেন। মা ছাড়া সে খাবে কি করে।
‘অ্যানি এখনো জানেন না তার স্বামী-সন্তান মারা গেছেন। তাই বারবার দেখতে চাচ্ছেন। বলছেন, মেয়ে আমাকে ছাড়া কিছু খায় না। আমার মেয়েটাতো না খেয়ে আছে। মেয়েকে আমার কাছে আনুন। তামাররাকে আমি খাওয়ালে ও সুস্থ হয়ে যাবে। মায়ের বুকেই সন্তানের শান্তি।
শুক্রবার (১৬ মার্চ) নেপাল থেকে ফিরে ঢাকা মেডিকেলে স্বামীর বন্ধু ইজাজ আহমেদ মিলনকে এসব কথা বলেন অ্যানি।
মিলন বলেন, আমি কাঠমাণ্ডু মর্গে মরদেহ দেখে এসেছি। পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। অ্যানি এখনো জানে না যে ওর স্বামী-সন্তান মারা গেছে। বারবার তার মেয়েকে খুঁজছিল। কারণ ওকে ছাড়া ওর মেয়ে খায় না।
‘আমরা তার এমন অবস্থায় বলতে পারছি না যে, তার স্বামী-সন্তান মারা গেছে। আমরা তাকে বলেছি ওর স্বামী ও বাচ্চা একটু বেশি অসুস্থ। তাই তাদের সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে।’
সন্ধ্যার পরে বার্ন ইউনিটের ছয়তলায় ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসাধীন অ্যানির কাছে গেলে তিনি জানতে চান তার সন্তান ও স্বামী কেমন আছে সিঙ্গাপুরে। অনুরোধ করে বলেন, তাদের সঙ্গে একটু ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেবেন!