ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ধুলাবালির সঙ্গে যুদ্ধ করে পথচলা
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটের এমনিতে অনেকটাই বেহাল দশা। সে সঙ্গে প্রায় রাস্তাই চলছে উন্নয়নের নামে খোঁড়াখুঁড়ি। আর তাতে নিত্য প্রয়োজনে বা কর্মের জন্য বের হওয়া মানুষকে সারা পথ ধুলাবালির সঙ্গে যুদ্ধ করে চলতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এর সঙ্গে সড়কে চলছে ট্রাকটর, পাওয়ার ট্রলির মতো নিষিদ্ধ বাহন। এসব যানবাহনের দাপটে শহরবাসী নিরুপায়। বাধ্য হয়ে প্রচন্ড ধুলাবালির মধ্যে যাত্রী ও পথচারীরা চোখ মুখ বন্ধ করে চলাচল করছে। শহরের সর্বত্র এখন ধুলাবালিতে একাকার।
রাস্তায় বের হলেই ধুলোর মুখোমুখি হতে হচ্ছে শহরবাসীকে। প্রতিটি এলাকায় এই ভোগান্তির দেখা মিলছে। অনেকে আবার মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন। এই দৃশ্য এখন শহরের সর্বত্র চোখে পড়ছে।
বিগত বছরে দেখা গেছে, একটু বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিরুপায় শহরে বাস করা মানুষগুলো ভুগেছেন কাদাপানি আর ড্রেনের জলাবদ্ধতায়। আর এখন শুষ্ক মৌসুমে ভুগছেন ধুলোর দুর্ভোগে। এতে করে সারাক্ষণ ধুলোর ধূসরের কারণে বাড়ছে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষণের।
বর্তমানে শহরের ধুলোতে রাস্তাঘাট একাকার হওয়ার প্রধান কারণ ওভারপাসের নির্মাণকাজ। এই রকমটি মনে করছেন অনেক ভুক্তভোগী। তারা বলছেন, শহরের ভাঙাচোরা ও খানাখন্দ ভরা রাস্তা ও ফুটপাতের কাজে বালু ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে তাদের ধুলোবালির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
রাস্তায় এখন যে পরিবেশ এতে চলাচল করাই কঠিন। ফ্লাইওভারের কাজের জন্য শহরের মধ্যে চলাচলরত সব যানবাহন এখন পাড়া-মহল্লার সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সারাক্ষণ এসব সরু রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে পুরো শহরকে ধূলোর শহরে পরিণত করেছে। আর গাড়ি গুলো এলাকাগুলো দিয়ে যাতায়াত করছে।এতে করে রাস্তারর
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টিলেটালাভাবে চলা ফ্রাইওভারের কাজের জন্য পুরো শহরের কয়েক লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রা আর রাস্তার চলাচলে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। পথচারীদের এখন চলাচলের মূল সড়ক হলো কাজীপাড়া, কান্দিপাড়া, ফারুকী পার্ক সংলগ্ন রাস্তা, মৌড়াইল ও পুনিয়াউট এলাকা দিয়ে। এতে করে রাস্তায় চলাচলরত যাত্রী ও সড়কের পাশে বসবাসরত বাসিন্দারা ধুলোর জ্বালায় সবচেয়ে বেশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের অভিমত, ধুলোবালিতে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগের মাত্রা বেড়ে যায়। এখন দিনে রাতে শহরের এ রকম রোগী প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে।