সরকারি সংবাদমাধ্যমে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্তের রাজকীয় ফরমানের কথা বলা হলেও তাদের সরিয়ে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
প্রায় তিন বছর ধরে ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট। তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি বিয়েবাড়ি থেকে শুরু করে জানাজার নামাজও। দীর্ঘ এ অভিযানে সফলতা পাওয়ার বদলে উল্টো বেকায়দায় পড়েছে সৌদি জোট। এমন বাস্তবতায় সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বরখাস্তের রাজকীয় ফরমান এলো। তবে এখনই একে নিশ্চিতভাবে ইয়েমেনে ব্যর্থতার ফল বা পরিণাম বলার সময় আসেনি।
বর্তমান রাজার পুত্র যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হয়। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তার হাতে। তিনি যুবরাজের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দেশটির শীর্ষ পর্যায়ে অনেক রদবদল হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একাধিক মন্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর থেকে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে যুবরাজের নির্দেশে রাজপরিবারের অনেক সদস্যকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে রাজপরিবারের নারী সদস্যও ছিলেন। পরে অবশ্য মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তাদের অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া রহস্যজনক এক বিমান দুর্ঘটনায় এক প্রিন্স নিহত হন। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে নিজের ক্ষমতা সংহত করার পথে যাদেরই হুমকি মনে করছেন তাদের ওপরই ধরপাকড় চালাচ্ছেন যুবরাজ। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন