অলরাউন্ডার মাশরাফিতে আবাহনীর জয়
স্পোর্টস ডেস্ক : ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে নেমেছিল আবহানী লিমিটেড। ঐতিহ্যবাহী দল দুটির মহারণের আগে স্বাভাবিকভাবেই ছিল বাড়তি উত্তেজনা। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজার অলরাউন্ড পারফরমেন্সে কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে আবাহনী। মতিঝিলপাড়ার ক্লাবটির বিপক্ষে ১১২ রানের জয় পেয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটি।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২৫৯ রানে অলআউট হয় মাশরাফির দল। এনামুল হক বিজয়ের ৬৩, অধিনায়ক নাসির হোসেনের ৬৭ রান এবং মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৭ রান করেন।
শেষ দিকে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাত্র ১৭ বলে খেলেন ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ১টি চার ও দুটি ছক্কার সুবাদে মোহামেডানকে ২৬০ রানের লক্ষ্য দেয় পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে থাকা দলটি।
হোম অফ ক্রিকেটে বল হাতে শুরুতেই আঘাত হানেন মাশরাফি। নিজের ও দলের প্রথম ওভারের শেষ বলে ফিরিয়ে দেন মোহামেডানের ওপেনার জনি তালুকদারকে। দলীয় পঞ্চম ওভারে ফের উইকেট শিকার করেন নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত এই তারকা। ৫ বলে ৩ রান করা মোহামেডানের অধিনায়ক শামসুর রহমান শুভকে এলবিডব্লিউ ফাঁদে ফেলেন দেশসেরা এই পেসার।
দলীয় ৬৩ রানে ফের উইকেট হারায় মোহামেডান। এবারও নায়ক ম্যাশ। ওপেনার ৩৮ বলে ৩৫ রান করা রনি তালুকদারকে বোল্ড করে ড্রেসিং রুমে পাঠান দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়া এই তারকা বোলার।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৩০.৪ ওভারে ১৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় মোহামেডানের ইনিংস।
৭ ওভারে ৩৭ রানে তিনটি উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক। এদিকে মেহেদী হাসান মিরাজও তুলে নেন ৩টি। এদিকে মানপ্রিত গনি দুটি সানজামুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ তুলে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
৮১ বলে ৬৩ রান ও উইকেটের পেছনে দুটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আবাহনীর এনামুল।