৭ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা
রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ও বেসরকারি তিনটি ব্যাংকে মূলধন ঘাটতি রয়েছে। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সাত ব্যাংকে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৯ হাজার ৪১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকে মূলধন ঘাটতি সাত হাজার ৬২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অপরদিকে বেসরকারি তিনটি বাংলাদেশ কমার্স, ফারমার্স ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি এক হাজার ৭৯১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
সোমবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের (মৌলভীবাজার-২) লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্য মতে, ওই সময় পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ঘাটতি তিন হাজার ১৪০ কোটি ৪১ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকের ৬৮৯ কোটি ৯০ লাখ, জনতা ব্যাংকের এক হাজার ২৭২ কোটি ৯৩ লাখ এবং বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দুই হাজার ৫২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আবার বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ২৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ফারমার্স ব্যাংকের ৭৪ কোটি ৭৬ লাখ এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি এক হাজার ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
অপরদিকে একই সময়ে সরকারি ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতি সাত হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর উদ্বৃত্ত প্রভিশন রয়েছে এক হাজার ৭৬ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দুই হাজার ৯০০ কোটি ৯১ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকের এক হাজার ২৪৫ কোটি ৩৪ লাখ, বেসিক ব্যাংকের তিন হাজার ৪২১ কোটি ৫৪ লাখ, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১৯৮ কোটি ৬২ লাখ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮৬১ কোটি ৬১ লাখ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৫৯ কোটি ৪০ লাখ এবং স্টান্ডার্ড ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ৮৯ কোটি ৯ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী জানান, ২০০৫-০৬ অর্থবছর হতে শুরু করে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত সরকার ১০ হাজার ২৭২ কোটি টাকার মূলধন পুনরায় মূলধনীকরণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, যা ব্যাংকগুলোতে ইতোমধ্যে মূলধন হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
মূলধন ঘাটতি পূরণে ১৬শ’ কোটি টাকা ফারমার্স ব্যাংকে দিচ্ছে সরকার
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বেসরকারি দি ফারমার্স ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে ইতোমধ্যে ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া ১১শ’ কোটি টাকা মূলধন বৃদ্ধি করার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ও বিভিন্ন পন্থা অবলম্বনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এমপি সেলিম উদ্দিনের (সিলেট-৫) এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ছয় হাজার ৯৩২ কোটি ৪০ লাখ টাকা রেমিটেন্স বৈধভাবে দেশে এসেছে। সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে সৌদি আরব থেকে ১২শ’ এক কোটি ৪০ লাখ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১১শ’ ৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।
www.jagonews24.com