‘চা ও চা-জাত পণ্য বহুমুখীকরণে জোর দিন’
নিজস্ব প্রতিবেদক : চা ও চা-জাত পণ্য বহুমুখীকরণ এবং চায়ের গুণগত মান ও উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে গবেষণা জোরদার করার নির্দেশনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ৩০০ ফুট সংলগ্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী- ২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সাতকড়া চা, লেমন চা, মশলা চা, জিনজার চা, তুলসি চা এবং টি সোপ, টি শ্যাম্পু, টি টুথপেস্ট, টি কোলা, চা এর আচারসহ বিভিন্ন ধরনের চা, চা-জাত পণ্য ও প্রসাধন সামগ্রীর কথা উল্লেখ করে চা এবং চা-জাত পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বরোপ দেন প্রধানমন্ত্রী।
চা মোড়কজাত ও বাজারজাতকরণেও নতুনত্ব আনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার ও পেস্টিসাইডস ব্যবহার না করে অর্গানিক পদ্ধতিতে বাংলাদেশে চা উৎপন্ন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী চায়ের গুণগত মান ও উৎপাদন বৃদ্ধি, পোকামাকড় দমনে নতুন নতুন উপায় উদ্ভাবনসহ ফ্লেভার্ড চা এর বিষয়ে গবেষণাকে জোরদার করার নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্টদের।
চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিতে বাগান মালিকদের প্রতি নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর চা খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। শুধু মালিকদের নয়, চা শ্রমিদের কল্যাণেও কাজ করেছি। কারণ তারাই তো (শ্রমিক) মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চায়ের উৎপাদন করেন, পাতা তুলেন, বাগানের পরিচর্যা করেন। তাদের কল্যাণে বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রতি আপনাদের নজর দিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকরাও বেশ আন্তরিকতা দিতে তাদের কাজটুকু করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
চা চাষ, উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, চা শ্রমিক ও মালিকদের কল্যাণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে চা উৎপাদন ও মান বৃদ্ধির কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের চায়ের উৎপাদন ছিলো ৩ কোটি কেজি।