ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পুলিশের উপরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপি কর্মীরা। এসময় বেশ কয়েকজন বিএনপি কর্মী আহত হয়। নেতাকর্মীদের ঠেকাতে সকালে থেকে মহাসড়কের সকল দোকনপাট বন্ধ করে দেয় এবং মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন ব্যাতীত সকল যান বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এসময় পথচারীরাও পুলিশি হয়রানি ও দূর্ভোগের শিকার হয়।
এই দিকে দুপুরে খালেদা জিয়ার গাড়ী বহর ভৈরব অতিক্রম করার সময় নেতাকমীদের ভীরে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীদের ঠেকাতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো: মাজাহারুল ইসলাম, ভৈরব উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ভিপি মো: বাহার মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তারিকুজ্জামান পারনেল, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট কবিতা খানম, ভৈরব পৌরযুবদল নেতা মাসুদ-সহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহর ভৈরব অতিক্রম করার পর ভৈরব উপজেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম সহ আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে ভৈরব বাজারের বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. শরিফুল আলম বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়ার ধর্মীয় সফরে পুলিশ পথে পথে নেতাকর্মীদের উপর রাজনৈতিক হামলা চালিয়েছে। গ্রেফতার করেছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে ভৈরব থেকেই ৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আন্দোলন থেকে নেতাকর্মীদের দুরে সরানো যাবেন। নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারে সরতে হবে। বিএনপির এ নেতা বলেন, কোন স্বৈরাচারই স্বৈরাচারি করে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, এই সরকার ও পারবেনা। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই আগামী দিনের আন্দোলনে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।