ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ওমেগা-থ্রি
বেশি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। যে পরিমাণ পুষ্টি গ্রহণ করা হয় সেটার ভিত্তিতে আমাদের শরীর একটি নির্দিষ্ট মাত্রার শক্তির সঙ্গে মানিয়ে নেয়। আর সেই শক্তির মাত্রা ঠিক রাখতে ক্ষুধা অনুভূত হয়। তবে এই ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করাতে পারে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার যেমন: মাছ, তিসির বীজ, আখরোট ইত্যাদি।
ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কীভাবে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে সে বিষয়ে জানিয়েছেন ‘অরিফ্লেইম ইন্ডিয়া’র পুষ্টিবিজ্ঞানি সোনিয়া নারাং এবং পথ্যবিদ্যাশারদ নমামি আগারওয়াল।
* ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে তিন ধরনের চর্বি থাকে। ‘আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড(এএলএ)’, ‘আইকোসাপেন্টায়েনোইক অ্যাসিড(ইপিএ)’ এবং ‘ডোকোসাহেক্সায়েনোইক অ্যাসিড(ডিএইচএ)’। ইপিএ আর ডিএইচএ পাওয়া যায় মাছের তেলে, আর এএলএ মিলবে উদ্ভিজ্জ তেল যেমন তিসির বীজ কিংবা আখরোট থেকে। মস্তিষ্কের বিকাশ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পিইউএফএ নামক একটি রাসায়নিক উপাদান থাকে ক্ষুধার অনুভূতি ভোঁতা করে দেয়। এটি শরীরে ‘লেপটিন’য়ের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি। অর্থাৎ, খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমানোর মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ফ্যাটি অ্যাসিড।
* খাদ্যাভ্যাসে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত হলে মস্তিষ্কে ‘সেরোটনিন’ নামক হরমোনের মাত্রা বাড়ে, যা নির্দিষ্ট কোনো খাবারের প্রতি লোভ কমায় এবং অল্প খাবার খেয়েই পেট ভরা অনুভূতি দেয়। তাই একমুঠ আখরোট খাওয়াই হতে পারে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার গোপন কৌশল। কারণ, এতে আপনার পেট ভরা থাকবে অনেকক্ষণ।
* ডায়বেটিস রোগীদের ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতার উন্নয়নে কার্যকর ওমেগা-থ্রি অন্তর্ভুক্ত খাদ্যাভ্যাস। এছাড়াও শরীরের সঞ্চিত চর্বি কর্মশক্তি উৎপাদনে খরচ করতেও সাহায্য করে এটি। ফলে বাড়তি ওজন কমে।