কসবায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও রচনা প্রতিযোগীতা
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ছাত্র সমাবেশে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন- বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন, বিচারকরা ন্যায় বিচার করেন। খালেদার জিয়ার মামলায় স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আদালত দুই পক্ষের যুক্তি তর্ক শুনেছেন। কোটে বিচারক যেটি পেয়েছেন, সেটিই ৮ তারিখ রায় দিবেন।
এতে তাঁর কোন বক্তব্য নেই। বক্তব্য দিতে গেলে মির্জা ফখরুল পুটি মাছের মত লাফাতে শুরু করবে। তিনি বলেন; আদালত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিত করেছেন কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম বলছেন; আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। এটি পালগ ছাড়া এ কথা বলতে পারে না। তিনি আরো বলেন; এটি বিএনপি সরকারের আমালে হয়েছে। যদি রায় তাদের বিরুদ্ধে যায়, তাহালে ৫মিনিটের মধ্যেই বিচারকদের ব্যাঞ্চ পরিবর্তন করে তাদের মনগড়া রায় দিয়েছেন বলে নজির রয়েছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কসবা উপজেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল রোববার সকালে কসবা টি.আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড ও বিচার প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন; স্থানীয় সাংসদ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নিয়ে বেঈমানী না করার জন্য দ্বীপ্ত শপথ নেয়ার আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন; শেখ হাসিনা যা বলেন, তা-ই করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তুলবো। আগামী মার্চ মাসেই বঙ্গবন্ধু সাটেল্যাট চালু করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেন; বিএনপি শুরু থেকেই পদ্মা সেতু নিয়ে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। কিন্তু সেই নীল নকশার ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসে নাই। দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান।
কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন ও কলেজ শিক্ষক হাসিনা জান্নাতের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন; বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্ত্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্ত্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিছুল হক ভূইয়া, কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, এম.জি হাক্কানী, রুহুল আমিন ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন; বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি আল-আমিন, মো. মনির হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা মো. নাঈমুর রহমান, ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, মহিসিন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মাসুম বিল্লাল, কসবা পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাছুম, কসবা টি.আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সুজন মাহমুদ প্রমুখ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া কসবা উপজেলার ৩৪জন কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সমাবেশে কসবা উপজেলার ৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৩টি মাদ্রাসা ও ৮টি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেছেন। তাদের অংশ গ্রহনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায় রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ী ৪০ জন বিজয়ীকে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সু-সজ্জিত ভাবে মাঠে জমতে শুরু করে। সমাবেশটি এক পর্যায়ে মহা-সমাবেশে মিলিত হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে দ্বিতীয় পর্বে নগর বাউল শিল্পী জেমস ও শিলভী উপস্থিতিতে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।