সোমবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০১৭ ইং ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মূলার স্বাস্থ্য উপকারিতা

AmaderBrahmanbaria.COM
নভেম্বর ২৪, ২০১৭

---

স্বাস্থ্য ডেস্ক : শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মূলা। শীতের কিছু আগে থেকে পুরো শীতকাল জুড়েই পাওয়া যায় এই সবজিটি। আমরা মূলা এবং এর পাতা উভয়ই খেয়ে থাকি। সাধারণত এটি সালাদ ও সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। আমাদের দেশে সাধারণত সাদা ও লাল দুই প্রকার মূলা দেখা যায়। পুষ্টি গুণের বিচারে দু’টিই সমান মূল্যবান। তবে অনেকেই আছেন যারা সহজলভ্য এই সবজিটি খেতে একদম পছন্দ করেন না। তারাও সুস্থতা নিশ্চিতে খাবারের তালিকায় মূলা রাখুন। কারণ মূলা শুধু নানা রোগের চিকিৎসায় নয়, বরং রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।
মূলার স্বাস্থ্য উপকারিতা-

প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে
প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে মূলা। আসলে এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের বিষাক্ত উপাদান, তরল বর্জ্য হিসাবে বের করে দিতে পারে। এর ফলে কিডনি সুস্থ থাকে এবং মুত্রথলির যে কোনও সমস্যা কমতে শুরু করে। এছাড়াও এই সবজিটি মুত্রথলিতে প্রদাহ জনিত সমস্যা এবং প্রসাবের সময় জ্বালা অনুভূত হওয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
ওজন কমায়
মূলা এমন একটি উপাদান, যা অল্প খেলে পেট সম্পূর্ণভাবে ভরে যায়। ফলে আজেবাজে জিনিস খেয়ে পেট ভরানোর আর কোন উপায় থাকে না। এতে অতিরিক্ত ক্যালরিও শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। মূলার মধ্যে জলীয় উপাদানের মাত্রা খুবই বেশি থাকে। একইসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট এবং রাফেজ থাকে, যার ফলে যারা ওজন কমাতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এটি খুবই কার্যকরী। এছাড়া মূলার মধ্যে ফাইবার থাকায় তা শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দেয়। অন্যদিকে পাচন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে শরীরকে সুস্থ এবং সবল রাখতে সাহায্য করে।
হার্ট ভালো রাখে
মূলা ২ রকমের হয় লাল আর সাদা। এই রঙের পেছনে কারণ হল মূলার মধ্যে থাকা অ্যান্থোকায়োনিন। এই অ্যান্থোকায়োনিন আসলে এক ধরণের ফ্ল্যাবোনয়েড। এই উপাদানটির বহু স্বাস্থ্যকর দিকও রয়েছে। যেমন- বহু গবেষণায় উঠে এসেছে মূলার মাধ্যমে হার্টের যে কোন সমস্যা দূর করা যায়। এছাড়া, এই উপাদানটি ক্যান্সার এবং প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে পারে।
ক্যান্সার রোধ করে
মূলার মধ্যে অ্যান্থোকায়োনিন, ভিটামিন সি এবং ফলিক অ্যাসিড প্রভৃতি নানা উপকারি উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলি নানা রকম ক্যান্সার, যেমন, কোলোন, কিডনি, অন্ত্র, পেট এবং মুখের ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া মূলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সারের কোষ গড়ে ওঠা প্রতিহত করে। একইসঙ্গে ভাল কোষ তৈরিতেও সাহায্য করে মূলা।
হজম শক্তি বাড়ায়
মুলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যার ফলে পেটের কাজ সুদৃঢ় হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া আমাশয় বা ডায়ারিয়ার সমস্যা দূর হয়। লিভার এবং গলব্ল্যাডারকেও ভালো রাখতে পারে। এর কারণ মূলা খেলে হজম ভালো হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। আবার পেটের নানারকম সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে
নানা কারণে আমাদের শ্বাস প্রশ্বাস পদ্ধতিতে সমস্যা হতে পারে। যেমন ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা সর্দি লাগা, গলা ব্যাথা বা ফুলে যাওয়া, ফুসফুসে সংক্রমণ, কোনও রকম অ্যালার্জি এবং আরও নানা কারণ থাকে। মূলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায়, এই ধরণের সমস্যাগুলি সহজে শরীরকে কাবু করতে পারে না। ফলে শরীর শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাও দূর হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
মূলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পটাশিয়ামের একটি মূল কাজ হল রক্তচাপকে সঠিক রাখা। এটি রক্তনালীর কাজকে সুচারুভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং রক্তকে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
মূলার মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম থাকে। এ কারণে মূলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কখনোই বৃদ্ধি পায় না। উল্টো রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রেখে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে মূলা।
জ্বরের প্রকোপ কমায়
শীতকালে অনেকেরই ঠাণ্ডা লেগে জ্বর আসে। এই ধরনের সমস্যা মূলত ধুলো, ঠাণ্ডা বা বিভিন্ন সংক্রমণের জন্য হয়ে থাকে। এ সময় মূলার রস, বিট নুন দিয়ে পান করলে জীবাণু এবং সংক্রমণ দূর হয়। ফলে জ্বর, সর্দি এগুলি দূরে পালায়।
ত্বকের যত্নে
ত্বকের যত্নে মূলা দারুণ উপকারী। এতে ভিটামিন সি, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে, যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফেসপ্যাক হিসাবেও মূলা মুখে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ব্রণ, ত্বক ফেটে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পোকামাকড়ের কামড় সারাতে
মূলার মধ্যে যে যে উপাদানগুলি রয়েছে, তা যে শুধু শরীর এবং ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে, তা কিন্তু নয়। মূলার আরও একটি গুণ হল, এটি পোকামাকড় কামড়ানোর যন্ত্রণা দূর করতে পারে। আমাদের সবাইকেই কোন না কোন সময় পিঁপড়ে, বোলতা ইত্যাদি কামড়ায়। ফলে শরীরে যন্ত্রণা এবং অস্বস্তি হতে থাকে। এই সময় ব্যথার জায়গায় মুলার রস লাগালে আরাম পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে ব্যথাও দূর হয়ে যায়।

এ জাতীয় আরও খবর

  • জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাস নৈরাজ্য রোধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ কমিটি গঠন
  • কলকাতায় জয়ার সাথে মাইকেল ক্লার্ক
  • লাকসামে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজির ৫ যাত্রী নিহত
  • আবার ঈদ, আবার নতুন পোশাক
  • অবশেষে নিষিদ্ধ হলেন যুব ক্রিকেটার সঞ্জিত সাহা
  • ছবি থেকে মাহি বাদ, ‘কিছুই জানেন না’ শাকিব
  • প্রিয়াঙ্কার ‘ব্যাটগার্ল’ স্বপ্ন
  • মালয়েশিয়ায় অবৈধ ৩ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক নিবন্ধিত
  • সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ ট্রাফিক পুলিশের
  • নানা হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • পার্লামেন্টে বুকের দুধ খাওয়ানো অস্ট্রেলীয় এমপির পদত্যাগ
  • বিশ্বে শান্তিপূর্ণ দেশ মাত্র ১০টি

এ জাতীয় আরও খবর

  • জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাস নৈরাজ্য রোধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ কমিটি গঠন
  • কলকাতায় জয়ার সাথে মাইকেল ক্লার্ক
  • লাকসামে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজির ৫ যাত্রী নিহত
  • আবার ঈদ, আবার নতুন পোশাক
  • অবশেষে নিষিদ্ধ হলেন যুব ক্রিকেটার সঞ্জিত সাহা
  • ছবি থেকে মাহি বাদ, ‘কিছুই জানেন না’ শাকিব
  • প্রিয়াঙ্কার ‘ব্যাটগার্ল’ স্বপ্ন
  • মালয়েশিয়ায় অবৈধ ৩ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক নিবন্ধিত
  • সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ ট্রাফিক পুলিশের
  • নানা হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • পার্লামেন্টে বুকের দুধ খাওয়ানো অস্ট্রেলীয় এমপির পদত্যাগ
  • বিশ্বে শান্তিপূর্ণ দেশ মাত্র ১০টি