ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম দূর্নীতির কারনে দিশেহারা গ্রাহকরা
---
তৌহিদুর রহমান নিটল , ব্রাহ্মনবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম ও দূর্নিতির কারনে ব্যহত হচ্ছে গ্রাহক সেবা। এ যেন দেখার কেউ নেই। এতে দূর্ভোগের শেষ নেই হাজার হাজার গ্রাহকের। অতিরিক্ত বিলের চাপে দিশেহারা ভোক্তভোগি গ্রাহকরা । এসব বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে অফিসে গেলেও ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে সংশ্লিষ্টদের দেখা মিললেও হচ্ছেনা সূরাহা । খোঁজ নিয়ে জানা যায় এ বিতরন বিভাগের আবাসিক ও বানিজ্যিক গ্রাহক মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার ।এছাড়া নতুন সংযোগের ক্ষেত্রেতো আরো করুন অবস্থা। সরকার নির্ধারিত ফি এর চেয়ে নেয়া হচ্ছে কয়েকগুন বেশী টাকা । এর প্রধান কারন হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের দীর্ঘদিন এক জায়গায় চাকরী করা । তারা অফিসের বাইরে কিছু লোক দিয়ে তৈরী করেছে একটি দালাল চক্র।এ চক্রের মাধ্যমেই বেশীরভাগ সময় সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এছাড়া মিটার রিডিং না দেখে আনুমানিক বিল গ্রাহকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। অতিরিক্ত বিলের চাপে দিশেহারা অসহায় গ্রাহকরা বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই। মিটার রিডাররা প্রতি মাসে মিটার দেখে বিল করার নিয়ম থাকলেও মিটার না দেখে বিল প্রদান করায় অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে ।
সরজমিরে ঘুরে দেখা যায় শহরের কালাশ্রীপাড়া, পাইকপাড়া, মৌড়াইল ,পুনিয়াউট ,দাতিয়ারা ও কাজীপাড়া সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার বাণিজ্যিক ও আবাসিক গ্রাহকরা মাসে মাসে অতিরিক্ত বিল নিয়ে অফিসে হাজির হয়। ভুক্তভোগীরা জানান ,আমরা মাসের পর মাস বিদ্যুৎ বিলের এ অভিযোগ নিয়ে অফিসে আসি তবে বেশির ভাগ সময়ই সংশ্লিষ্ঠদের দেখা মেলেনা। কথা হয় এ রকম কয়েকজন গ্রাহকের সাথে । তারা বলেন দিনে রাতে সারাক্ষনই বিদ্যুৎ আসে আর যায়। এতে আমাদের ছেলে মেয়েদের পরাশোনা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।কিন্তু মাসের শেষে ঠিকই বাড়তি বিলের বোঝা গুনতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলি মো: কামরুজ্জামান বলেন, গ্রাহকদের অতিরক্তি বিলের ভোগান্তি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোন অভিযোগ পাননি বলে তিনি জানান।