‘বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুরে ২০ ভাগ ইয়াবাসেবী আর ৫ ভাগ মানুষ ব্যবসায়ী’
---
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি : ‘বাঞ্ছারামপুরস্থ সোনারামপুরের যুবসমাজের মধ্যে মাদক বলতে ইয়াবা এমনই বেড়েছে যে,তার পরিমান হবে গড়ে শতকরা ২০ এবং এরমধ্যে ৫ ভাগ আবার ইয়াবা ব্যবসায়ী’-সাহস করে এমন সত্য কথাটিই বলে বসলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,আজ বৃহস্প্রতিবার সকালে ছিলো বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মাসিক সমন্ধয় সভা।সমন্ধয় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.নুরুল ইসলাম।সেই সমন্ধয় সভায় এক সাড়িতে বসে মতবিনিময় করছিলেন যথাক্রমে স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্যা.এবি তাজুল ইসলাম এমপি,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শরিফুল ইসলাম,বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ অংশু কুমার দেব,সহকারি কমিশনার মো.আলমগীর হোসেন,পৌর মেয়র খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা,সোনারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদসহ অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।সেখানে মাদক বিস্তারের প্রসঙ্গে কথা আসলে সোনারামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অভিযোগ ও ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন,-‘এখানে ওসি সাহেব আছেন,তিনি মাদক বন্ধ করতে কার্য্যকর পদক্ষেপ নেন না।আমার এলাকায় যুব-সমাজের মধ্যে ধরতে গেলে শতকরা ২০ জনই ইয়াবাখোর এবং তাদের মধ্যে ৫ জন আবার ইয়াবা ব্যবসায়ী’।
এতে খানিক বিব্রতবোধ করেন ক্যা. তাজ এমপি।পওে তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন,-‘মাদক বিষয়ে আমি জিরো টলারেন্স এর কথা বার-বার বলেছি আমার দলীয় নেতা-কর্মী হোক-তাকে গ্রেফতার করবেন’।
উল্লেখ্য,গত সপ্তাহে মাদক ব্যবসায়ীরা একই উপজেলার রুপুসদীতে ওমর আলী নামে জনৈক সরকারি কর্মকর্তা ও মাদক বিরোধী সংগঠনের কর্নধারকে প্রকাশ্যে তার ২ পা কুপিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছে।এই বিষয়ে কোন এ্যকশান না নেওয়ায় রুপুসদী ইউনিয়নের জনগন পুলিশের প্রতি ক্ষুদ্ধ বলে জানা গেছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মাসিক সমন্ধয় সভায় আজকের মাদক প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম বলেন,-‘আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি।খোজ খবর ও বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছি।মাদকের কোন খোজ পেলে তার রেহাই নেই’।