‘অভিনেত্রীরা স্বেচ্ছায় সহবাস করেন, পরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেন’
---
বিনোদন ডেস্ক : কোনও পুরুষ নয়। এবার অভিনেত্রীদের দিকে বিস্ফোরক অভিযোগের আঙুল তুললেন এক অভিনেত্রীই।
ইন্ডাস্ট্রি কালচারের মুখোশ খুলে দক্ষিণী অভিনেত্রী ভৈরবী গোস্বামীর অভিযোগ, অভিনেত্রীরা স্বেচ্ছায় সহবাস করেন। ক্যারিয়ারে সুযোগ পেতেই এই পথ অবলম্বন করেন তাঁরা।
দশ বছর পরে সাফল্য পেয়ে বিখ্যাত হয়ে আবার সেই অভিজ্ঞতা জানিয়েই শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে এ অভিযোগ নতুন নয়। বহু অভিনেত্রীকেই ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকে নাকি যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়। কাস্টিং কাউচ কোনও গল্পকথা নয়, বরং অভিনেত্রীদের অভিজ্ঞতা জানাচ্ছে, তা ভয়ংকর এক অক্টোপাস। যা থেকে অভিনেত্রীদের নিষ্কৃতি নেই। বহু অভিনেত্রীই গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত কাউকে আশ্রয় করে, তাঁর হাত ধরে ওঠার চেষ্টা করেন। আবার এই তথাকথিত গডফাদারের যৌন হেনস্তার শিকার হন।
পরে সাফল্য পেয়ে বিখ্যাত হয়ে যাওয়ার পর আবার স্মৃতি রোমন্থন করে সে ঘটনাই বারেবারে মনে করেন। এ জিনিস নতুন নয়।
কঙ্গনা রানাউত থেকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি- সর্বত্রই অভিযোগের রূপরেখা একইরকম। ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরে পুরুষতান্ত্রিকতাকেই এর জন্য দায়ী করা হয়।
তবে একেবারে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে অভিনেত্রী ভৈরবী গোস্বামীর দাবি, অভিনেত্রীরা যা করেন স্বেচ্ছায় করেন। পরে বিখ্যাত হওয়ার পর আবার শ্লীলতাহানির ধুয়ো তোলেন। কিন্তু এই সহবাসের সিদ্ধান্ত তাঁরা নিজেরাই নিয়ে থাকেন। পরে অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি সমস্ত অভিনেত্রীদের দোষ দিচ্ছেন না। তবে অনেকেই করে থাকেন। আবার শুধু অভিনেত্রীরাই নয়, ক্যারিয়ারে সাফল্য পেতে বহু নারীই এ পথ ধরেন। তবে একে আর যাই হোক শ্লীলতাহানি বলা যায় না।
ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে পুরুষতান্ত্রিকতা নিয়ে বহু কথা হয়। অভিযোগও কম নয়। তবে ভৈরবীর এ কথা যেন মুদ্রার অপর পিঠটিও অকপটভাবে তুলে ধরল।