হরতালের প্রভাব নেই রাজধানীতে
---
নিজস্ব প্রতিবেদক :জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদ, সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানসহ আট নেতাকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের প্রতিবাদে সারা দেশে দলটির ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতাল চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে হরতাল চলছে। তবে রাজধানীর কোথাও হরতালের প্রভাব দেখা যায়নি। অন্যান্য কর্মদিবসের মতো স্বাভাবিকভাবে চলছে যানবাহন। বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে যানজটও দেখা গেছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূররপাল্লার পরিবহনও।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। তবে জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীকে রাজপথে দেখা যায়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যানবাহনও। রাস্তায় বাড়ছে মানুষও। দোকানপাটও খুলতে শুরু করেছে।
আজ সকালে রাজধানীর মতিঝিল, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালী, বনানী ও উত্তরা এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরতালের সমর্থনে দলটির নেতাকর্মীরা রাজধানীর যেসব সম্ভাব্য স্থানে বিক্ষোভ করতে পারে সেসব স্থানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল গনি সাবু জানান, এ এলাকায় হরতালের কোনো প্রভাব নেই। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিদিনের মতোই সড়কে যান চলাচল করছে।
ওয়ারি থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত মাঠে জামায়াতের নেতাকর্মীদের দেখা যায় নি। সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে।
বাড্ডার ওসি কাজী ওয়াজেদ মিয়া জানান, বাড্ডার রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক। কোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটে নি। বাড়তি পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছে।
উল্লেখ্য, জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদসহ আট নেতাকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা দেশে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সারা দেশে বিক্ষোভ এবং বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যার হরতাল ও শুক্রবার দোয়া দিবস পালন করবে তারা।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্রেরগাড়ি এবং ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।