‘মুরুব্বি তিন দেশকে বশে আনতে হবে’
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার। যাদের অস্ত্রের যোগানদাতা হচ্ছে চীন, রাশিয়া এবং ভারত। কাজেই মিয়ানমার থেকে জীবনের ভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে হলে তাদের (মিয়ানমার) মুরুব্বি তিন দেশ ও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের বাগে (বশে আনা) আনতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে।
রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ এবং আমাদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনার আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালগ এইড ফাউন্ডেশন নামক একটি মানবাধিকার সংস্থা।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন, রাশিয়া ও ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে চীন, রাশিয়া ও ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানদের ফোন করতে হবে। প্রয়োজনে সে সব দেশে সফরে যেতে হবে। যদি তিন মুরুব্বিকে বুঝানো যায়; তাহলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান সম্ভব, অন্যথায় সম্ভব নয়।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাশ্ববর্তী দেশের কাছ থেকে যুদ্ধের উস্কানি ছিল আর সেই উস্কানিতে আমরা পা দিইনি প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যেকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বিরাট এক সমস্যা। এর সমাধানে অন্তত একবার জাতীয় ঐক্যে গঠন করতে হবে। আর সেই জাতীয় ঐক্য গঠনে প্রধানমন্ত্রীই উদ্যোগে নেবেন নাকি আমরাই বার বার বলতেই থাকবো?। কারণ জাতীয় ঐক্য সময়ের দাবি।
আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা জানতাম ভারত-রাশিয়া-চীন এই তিনটি দেশ বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। অথচ সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে জীবনের ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন দেখছি বন্ধুরাষ্ট্র বলে বাংলাদেশের পাশে কেউ নেই। বরং তারা মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়েছে একটি জাতিকে নিধন করতে আর সাহায্য পাঠানোর নামে আমাদের সাথে এক ধরণের উপহাস করেছে। এক কথায় যাকে বলে গরু মেরে জুতো দান।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্র প্রশ্নে বাংলাদেশ এখন অস্তিত্ব সংকটে। যে কোনোভাবে এই সরকার ভঙ্গুর, নড়বড়ে। কিন্তু আমরা যদি অস্তিত্বের প্রশ্নে এক জায়গায় দাড়াতে না পারি তাহলে সেই সুযোগটা এই সরকার নেবে এবং নিচ্ছে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. মোজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বগুড়া জেলা বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম গোলাম সারোয়ার।